সভায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের আসার ব্যাপারে কৌশলগতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে শাসক দলের তরফে। এমনটাও অভিযোগ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের চিহ্নিত সমাজবিরোধীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি যারা চুরি দুর্নীতি কাটমানির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত তারা হামলা চালিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর। মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। পুলিশের এফআইআর- এ নাম না থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অগ্নিমিত্রা পাল-সহ দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও মামলা রুজ করা হয়েছে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা, যার নির্দেশে সভা হয়েছে, আজ তাঁর কাছেই বিচার চাইব। সেইসঙ্গে আদালতের কাছে এও আবেদন করব যাতে পুলিশের দায়ের করা মিথ্যে এফআইআর গুলিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।’’
advertisement
আরও পড়ুন- ‘আমি আগেই বলেছিলাম ৩০ হাজার বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে’: শুভেন্দু অধিকারী
রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের ভূমিকা নির্লজ্জ বলেও মন্তব্য করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দাবি, প্রভাবশালী 'ভাইপো'-র নির্দেশে পুলিশ ও তৃণমূল মিলে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাই আমরা মনে করি 'পিসি-ভাইপো'র পুলিশ নয়, কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থার হাতে হটুগঞ্জের ঘটনার তদন্তভার তুলে দিক আদালত'।
বলা বাহুল্য, ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগেই তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় শনিবার। বিজেপি-তৃণমূল, একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা, পাল্টা হামলার অভিযোগে সরব হয়। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হটুগঞ্জ। বিজেপি সমর্থকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ। পাল্টা তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। শনিবারের মেগা ম্যাচ। ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দু। কাঁথিতে অভিষেক। তৃণমূলের পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে শুভেন্দুর সভা শুরুর আগে থেকেই উত্তপ্ত হয় হটুগঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকা । ইট বৃষ্টি। গাড়িতে আগুন। মারধরের অভিযোগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়।