তালিকায় অযোগ্যদের নাম, রোল নম্বরের উল্লেখ রয়েছে। তালিকার সঙ্গে এক বিজ্ঞপ্তি ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত তালিকাকে প্রথম তালিকা বলে উল্লেখ এসএসসি-র। যদিও তালিকায় অযোগ্য শিক্ষকদের স্কুল ও তাঁরা কোন বিষয় পড়াতেন তার উল্লেখ করা হয়নি। তালিকা প্রকাশের আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, আদালতের নির্দেশ মেনেই সব পদক্ষেপ করা হবে।
advertisement
যদিও এসএসসি-র প্রকাশ করা তালিকাকে ‘ভোগাস’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসসি নিয়ে আইনি জটিলতাকে চালিয়ে যেতে চান। ১৮০৪ জনের নাম প্রকাশ করেছে। এটা অসম্পূর্ণ তালিকা৷ এই সংখ্যাটা ৬ হাজারের বেশি৷ ২০২২ সালের নির্দেশে যা উল্লেখ করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ রাজ্য সরকার স্বীকার করে নিল ১৮০৪ জনের চাকরি অবৈধভাবে তারা দিয়েছে৷ স্বাধীনতার পর দেশে এমন নজির নেই৷ এমন কি, ত্রিপুরাতেও বামফ্রন্ট সরকার অবৈধভাবে চাকরি দেওয়ার কথা স্বীকার করেনি৷ প্রমাণিত হল সরকার বেআইনি কাজ করেছে৷ এটা কোনও নির্বাচিত সরকার করতে পারে না৷
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, বাংলার যুবক- যুবতীদের কাছে কথা দিতে পারি বিরোধী দলনেতা হিসেবে যে ১৮০৪ জন বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, বিজেপি সরকারে আসার পর তাঁদের নামে এফআইআর করে মন্ত্রী আমলা যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি দিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠিনতম ব্যবস্থা নেব। বিজেপিকে সরকারে আনুন। আমি কথা দিচ্ছি আট মাস বাদে দেখে নেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তাঁর মন্ত্রীদের ভবিষ্যতের ঠিকানা জেল।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট স্পস্ট জানিয়েছে, আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এক জনও ‘দাগি’ প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে না পারেন।