সিঙ্গুর আন্দোলনে অধিকাংশ মানুষের পাশাপাশি তাঁরও যে সমর্থন ছিল না তা আজ, সোমবারের দলীয় সভা থেকে সেই সিঙ্গুর থেকে স্পষ্ট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ‘গোপন’ কথার গোপনিয়তা এদিন নিজেই প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন শুভেন্দু। আগামী ২৯ নভেম্বর বুধবার ধর্মতলায় অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপির সমাবেশের সমর্থনে এক জনসভায় সোমবার সিঙ্গুরে হাজির হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
advertisement
আরও পড়ুন– ধর্মতলায় শাহী সমাবেশে থাকছে ‘ড্রপ বক্স’, বাম- ডান সবাইকে ‘আমন্ত্রণ’ বঙ্গ বিজেপির
সেখানেই শুভেন্দু বক্তব্য রাখার সময় চাঞ্চল্যকর দাবি করে বলেন,’ সিঙ্গুর নিয়ে তৃণমূলের আন্দোলনে একমাত্র বিধায়ক তিনি যিনি সেই আন্দোলনে একদিনও ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে হাজির ছিলাম না। আমি তখন নন্দীগ্রামের হিরো। হাইওয়ে অবরুদ্ধ করে দিনের পর দিন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ও আমাকে প্রতিদিন তৎকালীন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ফোন করে আসার কথা বললেও আমি মাত্র একদিন গিয়েছিলাম কুড়ি মিনিট বক্তব্য রেখেছিলাম।’ হাইওয়ের ধারে মঞ্চ বাঁধার জন্য ডেকোরেটরের খরচ বাবদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা মিটিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম বলেও এদিন দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
বক্তব্য রাখার সময় এদিন শুভেন্দু অধিকারী নিজেই বলেন তাহলে আপনাদের এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কেন আমি সেই সময় প্রতিবাদ করিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, ‘প্রতিবাদের সুযোগ ছিল না।’ সিঙ্গুরে এদিন দলীয় সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়,’ বেশিরভাগ কৃষিজীবী মানুষই চেক নিয়ে নিয়েছিলেন। সামান্য কয়েকজনকে নিয়ে সিঙ্গুরে টাটাদের গাড়ি কারখানা শিল্পে বিরোধীতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ তৃণমূলের ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের জেরেই সিঙ্গুরে তৈরি হওয়া কারখানার বিদায় হয়েছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন কড়া আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী