২০২১-এ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশার ধারেকাছেও ফল করতে পারেনি বিজেপি৷ তার পর থেকেই এ রাজ্যে কার্যত দেখা মেলেনি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র৷ অথচ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তিনিই হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গ বিজেপি-র অন্যতম প্রধান মুখ৷এবার সেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেই বাংলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ কৈলাসের জায়গায় বঙ্গ বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন সুনীল বনসল৷ উত্তর প্রদেশের এই নেতা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানার দায়িত্ব সামলাবেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন মদন মিত্র? তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা
পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার পর লোকসভার দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্য বিজেপি-র সংগঠনের ছন্নছাড়া অবস্থা দূর করাই এখন লক্ষ্য দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের৷ কারণ সংগঠন মজবুত না করলে যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল দূরে থাক, শাসক দলের সঙ্গে টক্কর দেওয়াই সম্ভব হবে না, তা ভালই জানেন দিল্লির নেতৃত্ব৷ পাশাপাশি, দলের রাজ্য নেতাদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো লক্ষ্য তাদের৷ কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল কিছুটা ভাল হলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেকটাই উদ্বুদ্ধ হবেন দলের নিচুতলার নেতা, কর্মীরা৷ যাকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী সমর্থক নেতৃত্বের মধ্যে এত উৎসাহ উদ্দীপনা সেই সুনীল বনসল কে?
আরও পড়ুন: 'সিবিআই তদন্তে খুশি নই', কোন ঘটনায়? ফের বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
বিজেপি সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে জেতানোর পিছনে বড় ভূমিকা ছিল সুনীল বনসলের। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিতে এ বার গুরুত্বপূর্ণ পদে সেই সুনীল বনসল। ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জেপি নাড্ডার নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সুনীল বনসলের কাঁধে। সামনেই নবান্ন অভিযান এবং তারপর পঞ্চায়েত ভোট। আর চব্বিশে লোকসভা। তার আগে সংগঠনকে মজবুত এবং নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েই আজকের দলের হেস্টিংস কার্যালয়ের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।