১) আতঙ্কের ডিম ফুটে ব্যবসা লাটে, প্লাস্টিক ডিমের দেখা কোথাওই মেলেনি
হোয়াট্সঅ্যাপ থেকে ফেসবুক পাড়ি দিচ্ছে ‘চাইনিজ প্লাস্টিক ডিম’-এর গল্প। আর পুরুলিয়ার ঝালদার বাজারেও ডিমপ্রেমী গৃহস্থ হাঁকছেন— আগে একটা ডিম ফাটিয়ে ওমলেট ভাজ দেখি, তবে ডিম কিনব বটে! ঝালদা থেকে আলিপুরদুয়ার— সর্বত্র এক ছবি। কাউন্সিলররা নিজে দাঁড়িয়ে স্টকের ডিম ফাটিয়ে দেখছেন কুসুমটা ছেতরে গেল কি না! কোথাও কোথাও ডিম পরীক্ষায় ওমলেট অবধি ভাজা হয়েছে। শনিবারের বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটেও দেখা গেল, প্রবীণ ডিম-কারবারি অশোক ঘোষ ডিম ভাজতে ভাজতেই বলছেন, ‘‘ঘাবড়াবেন না, প্লাস্টিক ডিম হলে ভাজলেই কালো হয়ে যেত!’’
advertisement
২)গোঘাটে আক্রান্ত বিকাশ ভট্টাচার্য, গাড়ি থেকে নামিয়ে কটূক্তি ও মারধর
কখনও সারদা, কখনও নারদ, কখনও টেট। মামলায়-মামলায় শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছেন তিনি। সিপিএমের সেই আইনজীবী নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য শনিবার ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে হুগলির গোঘাটের ভাবাদিঘি যাওয়ার পথে উল্লাসপুরে আক্রান্ত হলেন। পথ আটকে কয়েকশো মহিলা-পুরুষ তাঁদের কটূক্তি ও মারধর করে। ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে যান বিকাশবাবু। শেষ পর্যন্ত আর ভাবাদিঘি না-গিয়েই তাঁরা কলকাতা ফিরে আসেন। ঘটনায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাই জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন বিকাশবাবুরা। বিকাশবাবুর বক্তব্য, ‘‘জীবনে কখনও এমন ঘটনার মুখোমুখি হইনি। ১৯৭২ সালেও নয়। ওরা আমার মোবাইল কেড়ে ফেলে দেয়। কিল-চড়-ঘুষি মারতে থাকে। পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। তারা আমাদের বলে, যেতে পারবেন না। এই রকম অবস্থা এখন পশ্চিমবঙ্গের!’’
৩) গরু কাটলেই ফাঁসি দেব, হুঁশিয়ারি ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতের বিধানসভা আইন সংশোধন করে যা বলল, তার চেয়ে আরও এক কদম বাড়িয়ে রাখলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ।
বললেন, ‘গরু কাটলেই এ বার ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হবে।’’ গতকাল গুজরাত বিধানসভা সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে বলেছে, গরু কাটলেই হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।’’
৪)আগামী সপ্তাহেই হয়তো কালবৈশাখী
কয়েক পশলা বৃষ্টি চাই বাঁচতে!
হাত বাড়ালেই মেঘ। সেই মেঘ উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এতটাই বৃষ্টি নামাচ্ছে যে অনেক জায়গায় তাপমাত্রা কমে কাঁপন ধরাচ্ছে। কিন্তু সেই মেঘ এক ফোঁটাও বৃষ্টি দিচ্ছে না গনগনে চুল্লি হয়ে থাকা রাঢ়বঙ্গ ও ছোটনাগপুর মালভূমি এলাকায়।
উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বে অসময়ের বৃষ্টির কারণ বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ রেখা। বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে সেটি। আবার রাঢ় বাংলা ও ঝাড়খণ্ড-মধ্য ওড়িশায় তাপের ফাঁদ তৈরির মূল কারিগরও ওই নিম্নচাপ রেখাই। আবহবিদেরা বলছেন, নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি জোলো দখিনা বাতাস টেনে আনছে। যার মূল অংশটি চলে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ হয়ে আরও পুবে। অন্য অংশটি রাঢ় বাংলার দিকে যাওয়ার পথে মুখোমুখি পড়ে যাচ্ছে মধ্য ভারত, ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে আসা গরম বাতাসের। তাতেই গরম বাতাস ঘুরে গিয়ে তৈরি করছে তাপের ফাঁদ। রাঢ়বঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে যাচ্ছে ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
১) মমতার লক্ষ্য এবার পঞ্চায়েত ভোট
বিজেপির আগ্রাসী রাজনীতি ঠেকাতে দলের নেতা-মন্ত্রী-কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে এখন পাখির চোখ হল পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটের প্রস্তুতি হিসাবে ব্লকে ব্লকে কর্মিসভা করতে নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেইসব কর্মিসভায় হাজির হতে মন্ত্রীদের জেলায় জেলায় যেতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে দলের কোর কমিটির বৈঠকে মমতা মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ব্লকে ব্লকে যেতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। সরকারি উন্নয়নমূলক কাজ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
২)রবীন দেবের ভাইপোকে তলব পুলিশের
প্ল্যাস্টিক ডিমকাণ্ডে এবার সিপিএম নেতা রবীন দেবের ভাইপো তথা শিয়ালদহ ডিমপট্টির ব্যবসায়ী সুমিত দেবকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। শনিবার কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি) সুমিতবাবুকে তাদের দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বৃহস্পতিবার তিলজলার গৃহবধূ অনিতা কুমার পার্ক সার্কাস মার্কেটের ব্যবসায়ী মহম্মদ শামিম আনসারির কাছ থেকে যে ডিম কিনেছিলেন, সেগুলি প্ল্যাস্টিকের বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩)মুখ্যমন্ত্রীর সায়, ঢাকা পর্যন্ত যাবে কলকাতা-খুলনা বাস
ছিন্নমূল লাখো মানুষের স্রোতে একসময় ভেসেছিল সীমান্ত। সেই ক্ষত আজও টাটকা। কাঁটাতারের দুই পাড়ের টান তো অন্তহীন! ছেড়ে আসা সেই পিতৃভূমি ছুঁয়ে দেখতে আজও আকুল বহু মানুষ। তার সঙ্গে বাণিজ্য, চিকিৎসা বা নিছক ভ্রমণ তো রয়েইছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকে এবার আরও সুগম করতে নয়া রুটে বাস চালানোর চুক্তি করতে চলেছে দুই দেশ।
৪)মায়ের বকুনির ভয়ে নিজেরই অপহরণের গল্প ফেঁদে পাকড়াও সল্টলেকের কিশোরী
পাড়ার দোকান থেকে খাতা কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল মেয়ে। হঠাৎ বাড়িতে আসে মেয়ের ফোন— ‘চারজন জোর করে আমাকে গাড়িতে তুলেছে। আমি গাড়িতেই আছি। কিন্তু কোথায় আছি জানি না।’ এহেন ফোন পেয়ে দিশাহারা হয়ে যায় সল্টলেকের ব্যবসায়ী পরিবার। ১৫ ঘণ্টা পরে নিউটাউন থেকে যখন সেই মেয়েকে পুলিশ পাকড়াও করল, তখন জানা গেল, পড়াশুনা নিয়ে মায়ের বকুনির ভয়ে নিজেই অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল একাদশ শ্রেণির এই কিশোরী। পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। আপাতত স্পষ্ট, আদৌ কোনও অপহরণের ঘটনা ঘটেনি। আজ আদালতে পেশ করবে, এই শর্তে মেয়েকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার আবেদন জানাতে পারে।