মঙ্গলবার রাতে বাগুইআটি পৌঁছন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে পৌঁছে তিনি কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন তা নিজের ফেসবুকে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘বাগুইআটির জগৎপুরে অপদার্থ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় অপহৃত দশম শ্রেণীর দুই ছাত্রের জীবন চলে যায়। আজ তাঁদের পরিবারের সাথে দেখা করতে গেলে নির্লজ্জ তৃণমূলের একদল গুন্ডা বাহিনী আমাকে বাধা দেয়। এই অপদার্থ তৃণমূল সরকার, যাদের কাছে সাধারণ মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই। এদের পতন নিশ্চিত। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এর হিসাব নেবে।’’ ঠিক এই ভাষাতেই ফেসবুকে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ৭ সেপ্টেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
প্রসঙ্গত, অপহরণের পর মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ। ১৪ দিনের মাথায় উদ্ধার বাগুইআটির অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় মূল অভিযুক্তের বাড়িতে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। কী কীরণে খুন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাগুইআটির জগতপুর খালধারের দুই বাড়ির দুই বন্ধু ৷
মাধ্যমিকের পড়ুয়া তারা ৷ কিন্তু গত ২২ অগাস্ট থেকেই যেন সব পাল্টে যায় ৷ হঠাৎই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় দুই ছেলে ৷ তাদের শত খুঁজেও পাননি পরিবারের লোকেরা ৷ তারপর হঠাৎই ফোন আসে, সেখানে মুক্তিপণের চাওয়া হয় ৷
অপহৃত দুই ছাত্রের পরিবারের লোকেরা অথৈ জলে পড়েন ৷ মুক্তিপণের ১ কোটি টাকা কোথা থেকে দেবেন তাঁরা, এই ভাবনা চলতে থাকে, খবর দেন পুলিশেও ৷ অবশেষে মৃত দেহের সন্ধান। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকায়। পুলিশি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। এরই মাঝে ঘটনায় লাগে রাজনীতির রং। ঘটনার খবর পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও তাঁর দলের কর্মী সমর্থক-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। আর এরপরই তাঁকে দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বাধা দেয় শাসকদল বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ ব্যাপারে তৃণমূলকে একহাত নেন তিনি।