রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আধার কার্ডে গরমিল নিয়ে সুকান্ত বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১২৩% , কোচবিহার, র্শিদাবাদের আধার স্যাচুরেশন ১২১% অর্থাৎ,মানুষ ১০০ জন হলে আধার ১২৩টি ইস্যু হয়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “এটার মাধ্যমে এরাজ্যে ভোট চুরি করে রাজ্যের সরকার ভোটে জিতেছে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে আধার কার্ড দেওয়া হয়েছে বলেই এই অবস্থা। সেটা বন্ধ করার জন্যই দরকার এরাজ্যে এসআইআর (SIR)৷ তৃণমূল কংগ্রেস এরাজ্যে ভুয়ো ভোটার, মৃত ভোটার নিয়ে খেলে। এরাজ্যে এখন নির্বাচন কমিশন খেলতে শুরু করেছে। এসআইআর হলে এটা বন্ধ হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: এত দিনে জানা গেল আসল কারণ…কেন মেট্রো আসতে এত দেরি হচ্ছে? জানুন ব্যাখ্যা
সিএএ আইনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদনের সময় ১০ বছর বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে সুকান্ত বলেছেন, CAA-তে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ১৪ সালের পর কেউ এলে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে ধরত। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি হিন্দু উদ্বাস্তু এসে থাকলে তাদেরকে আর ডিটেক্ট করা যাবে না। তাদের পুলিশ অত্যাচার করতে পারবে না।
এর পাশাপাশি ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে তিনি বলেছেন, “গত কয়েকদিনে বাংলার পুলিশ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে ধরেছে। যাদের রাখা হয়েছে জেলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তো রাখেনি। এটাই ডিটেনশন ক্যাম্প। আমার জেলায় এক মুসলিম ছেলেকে মালয়েশিয়াতে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। অনুপ্রবেশকারীকে রাখা হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে।”
সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘এর অর্থ আজকের গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে বা ভারতবর্ষে ঢুকে যাওয়া কোনও হিন্দুকে আর ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। তারা যদি থেকে যায় আর ১১ বছর পর তারা ভারতবর্ষের আইন অনুযায়ী নাগরিকত্বের অ্যাপ্লাই করে নাগরিক হতে পারবে।’’ তিনি বলেন, এই আইন তাদের তৈরি করা না, অনেক আগে থেকেই এই আইন ছিল। সেই আইন অনুসারে ১১ বছর অটোমেটিক্যালি আজকের শরনার্থী হিন্দুরা ভারতের নাগরিক হবার আবেদন করতে পারবেন৷