গত কয়েকদিন ধরেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা ইরা বসুর (Ira Basu) দুরবস্থার কথা সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছিল৷ প্রাক্তন শিক্ষিকা ইরা বসু উত্তর শহরতলির ডানলপে পথের ধারে দিন কাটাচ্ছিলেন৷ সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ চিকিৎসার পর খড়দহের এক সিপিএম কাউন্সিলরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ইরা বসুকে৷ ইতিমধ্যেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, স্বেচ্ছায় নিজের এই ধরনের জীবন বেছে নিয়েছিলেন ইরা বসু৷ পরিবারের কারও কোনও কথাই তিনি শোনেননি৷
advertisement
শুধু সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসার ব্যবস্থা নয়, তৎপরতার সঙ্গে ইরা বসুর বকেয়া পেনশন চালুরও ব্যবস্থা করে অর্থ৷ জানা গিয়েছে, প্রতি মাসে প্রায় চোদ্দ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন ইরা ভট্টাচার্য৷ ২০০৯ সাল থেকে বকেয়া পেনশন হিসেবে সুদ সহ প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা পাবেন তিনি৷ সুচেতনাকে নিজের পেনশনের নমিনি বাছেন ইরা বসু৷ কিন্তু সুচেতনা এ দিন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তাঁর মাসি ইরা বসুর কোনও সম্পত্তিই গ্রহণ করবেন না তিনি৷
আরও পড়ুন: ১২ বছর বাদে পেনশন চালু মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা ইরা বসুর! পথের জীবনে ইতি
অডিও বার্তায় সুচেতনা (Suchetana Bhattacharya) জানিয়েছেন, 'কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে আমি অবহিত হলাম যে অর্থ দফতর ইরা বসুর পেনশন চালু করেছে৷ এটা সুখের খবর৷ এবং এটাও জানতে পারলাম যে আমাকে উনি তার নমিনি করেছেন৷ এই মর্মে আমি দৃঢ় ভাবে জানাতে চাই যে আমি ইরা বসুর স্থাবর, অস্থাবর কোনও রকম সম্পত্তি কোনও ভাবে এবং কোনও দিনই গ্রহণ করব না৷ ইরা বসুর বর্তমান ব্যবহারে আমি এবং আমার বাবা, মা অত্যন্ত বিরক্ত হচ্ছি৷ আশা করব উনি সুস্থ, নিরোগ জীবনযাপন করবেন এবং অনুরোধ করব ভবিষ্যতে উনি যাতে ওনার কোনও কার্যকলাপে আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করেন৷'
সুস্থ হওয়ার পর ইরা বসু দাবি করেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে পেনশন চালু করার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ গোটা বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তদারকি করছেন বলেও দাবি করেন ইরা বসু৷ যদিও এই গোটা ঘটনায় যে ভাবে বার বার তাঁদের নাম জড়িয়েছে, তাতেই বিরক্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং তাঁর পরিবার৷