অনেকেই স্বীকার করেন, মেয়র হিসেবে মাত্র পাঁচ বছর দায়িত্বে থেকেই কলকাতার ভোল বদলে দিয়েছিলেন সুব্রত৷ শুধু কলকাতার চেহারা নয়, কলকাতা পুরসভার অন্দরেও কর্মসংস্কৃতিতে বদল এনেছিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন: আর অপেক্ষা নয়, বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে কালীপুজোর রাতেই প্রিয়-সোমেনের কাছে চলে গেলেন সুব্রত...
কলকাতার মেয়র হিসেবে নিজের কর্মদক্ষতার সম্ভবত সবথেকে বড় সার্টিফিকেটটা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের থেকেই পেয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল লেক গার্ডেন্স উড়ালপুুলের নির্মাণকাজ৷ সেই সময় নিজে উদ্যোগী হয়ে সেই সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছিলেন সুূব্রত মুখোপাধ্যায়৷ উড়ালপুলের উদ্বোধনে গিয়ে সুব্রতর প্রশংসা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ স্বীকার করে নিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যা পারেননি, তা করে দেখিয়েছেন সুব্রত৷
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার 'স্বর্ণযুগের' রূপকার, প্রশাসক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন শিক্ষক
মেয়র হিসেবে ইএম বাইপাসে প্রায় কুড়ি কোটি টাকা ব্যয়ে কলকাতা গেট তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ যদিও পরিবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে সেই প্রকল্প শেষ পর্যন্ত আর এগোয়নি৷
মেয়র হিসেবে মাত্র পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ প্রশাসক হিসেবে তিনি কতটা দক্ষ, ওই সময়ের মধ্যেই তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ৷ পরবর্তী সময়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী হিসেবেও সেই ছাপ রেখেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷
তবে শুধু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের থেকে প্রশংসা কু়ড়নোই নয়, প্রয়াত জ্যোতি বসুরও অত্যন্ত স্নেভাজন ছিলেন সুব্রত৷ ব্যক্তিগত পরিসরে নিজেও একাধিক বার সেকথা স্বীকার করেছেন তিনি৷