ব্যবসার অছিলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে বেশ কয়েক বছর আগে ৯ লাখ টাকা ঋণ নেন শুভব্রত মজুমদার। সূত্রের দাবি, এই টাকার মাসিক কিস্তি মেটাতেন মা বীণা মজুমদার। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে বিপাকে পড়েন শুভব্রত। আশঙ্কা করেন মায়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এলে বন্ধ হয়ে যাবে কিস্তির টাকা।
আরও পড়ুন-স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত শুভব্রত, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা
advertisement
মৃত্যুর পরে পিস হ্যাভেন থেকে মায়ের দেহ বাড়িতে এনে ঠিক ওই ভাবেই দেহ তিন বছর রেখে দিয়েছিলেন। অঙ্গগুলিকে আলাদা করে রাসায়নিকের সাহায্যে রাখা হয়েছিল। সংরক্ষণ করা হয়েছিল ভিসেরা। এরজন্য একাধিক মেডিক্যাল জার্নাল নিয়মিত পড়তেন শুভব্রত। দেশি-বিদেশি রিসার্চ পেপারও তাঁর আয়ত্তে ছিল। ইংরাজি তো জানতেনই, সেইসঙ্গে দখল ছিল রুশ-স্প্যানিশ-সহ আরও বেশ কিছু ভাষায়। তাই চিন-জাপান থেকে বই এনেও মায়ের দেহ সংরক্ষণের কাজ চালিয়ে যান।
আরও পড়ুন-মরা মাকে বাঁচাতেই কি দেহ সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছিলেন ছেলে শুভব্রত ?
বেহালার ঘটনার তদন্তে জেমস লং সরণির ওই বাড়ি থেকে দুটি ফ্রিজার উদ্ধার করেছে পুলিশ। একটিতে রাখা ছিল বীণা মজুমদারের দেহ। অন্যটি কীসের জন্য ? তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, হয়তো পেনশনের লোভে মায়ের মতো বাবার দেহও সংরক্ষণের ভাবনা ছিল শুভব্রত’র। কারণ, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, যে জার্নাল তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তা কোনও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির পক্ষে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে রাসায়নিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও ভুলই করেননি শুভব্রত। চিকিৎসকরাও বলছেন, পাগলামির কোনও লক্ষণই নেই শুভব্রত মজুমদারের মধ্যে।