গোটা SRFTI ক্যাম্পাস জুড়ে ছেড়ে গিয়েছে এই স্লোগান ও পোস্টারে ৷ এসআরএফটিআইতে হস্টেল বিতর্ক। ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের সঙ্গে সংঘাতে কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের নির্দেশে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা হস্টেল তৈরি হয়েছে এসআরএফটিআইতে।
তবে ছাত্রীদের জন্য তৈরি হস্টেলে যেতে রাজি নন ১৪ জন পড়ুয়া। ১৪ই অক্টোবর কয়েকজন পড়ুয়া গার্লস হস্টেলের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর সোমবার রাতে ওই চোদ্দোজন ছাত্রীকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেপড়ুয়াদের একাংশ। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অধিকর্তা-সহ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বচসা হয় ।
advertisement
দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে এসআরএফটিআই কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরও অবস্থান বদলাননি। তাঁরা লিঙ্গ বৈষম্য মানেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্রীদের বহিস্কারের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠছে না কর্তৃপক্ষও। এদিন অধিকর্তার সাংবাদিক সম্মেলনেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করা না হলে আন্দোলন চালবে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। এর আগে শ্লীলতাহানি এমনকী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এসআরএফটিআইতে। তাই নিরাপত্তার জন্যই ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদা হোস্টেল তৈরি হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের রিপোর্ট দিচ্ছে এসআরএফটিআই।