বৈঠকে মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী (H. K. Dwivedi) জানিয়েছেন, তাঁরা প্রফেশনাল কোর্স গুলোর জন্যই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ, তাঁদের বেশি করে সাপোর্ট দরকার। এটি যেন ব্যাঙ্কগুলির একটু ভাবনা চিন্তা করে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক এমনটাই বলেন মুখ্যসচিব। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৯২০০০ আবেদন এসেছে। কিন্তু বাকি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির এখনও পর্যন্ত অনুমোদন না আসায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রাজ্য। কারণ ৯২০০০ আবেদনের মধ্যে শুধুমাত্র ২২০০০ আবেদনই ব্যাঙ্কগুলিকে পাঠানো হয়েছে। যে ব্যাঙ্কগুলি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন দিতে চাইছে (Student Credit Card)।
advertisement
এখনও পর্যন্ত ২২ হাজারের সামান্য বেশি পড়ুয়ার আবেদনপত্রই ব্যাঙ্কগুলির বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও তার মধ্য থেকে শুধুমাত্র ৪৯৩ জন পড়ুয়ার লোন অনুমোদন করা হয়েছে। যার মধ্যে এখনো লোন অনুমোদন হয়নি ২০৫১৪ জন আবেদনকারীর যেগুলি এখনো ব্যাঙ্কের বিবেচনার অধীনে রয়েছে। পাশাপাশি ১০৩৯ জন আবেদনকারীর আবেদনই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে আবেদনপত্র বাতিল সে বিষয়ে অবশ্য নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু ভর্তির সময় চলাকালীন এত সংখ্যক পড়ুয়ার কিভাবে লোন অনুমোদন করা সম্ভব তার উত্তরই খুঁজছেন অর্থ ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন নিয়ে যিনি এলেন, অবাক হয়ে গেল বীরভূমের গ্রাম!
যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় থেকে খুব কম সংখ্যক পড়ুয়াই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোনের সুবিধা পেয়েছেন। আলিপুরদুয়ার জেলায় এখনও পর্যন্ত ১১৮ টি আবেদনপত্র ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে চারটি আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে,৪৩ টি আবেদনপত্রের লোন অনুমোদন হয়েছে এবং ৭১ টি আবেদন এখনো ব্যাঙ্কের বিবেচনাধীন রয়েছে। বাঁকুড়া জেলায় ৯০৪ টি আবেদনপত্রই ব্যাংক গুলিকে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যে ৬২ টি আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে, অনুমোদন হয়েছে ২৯ টি এবং এখনো ব্যাঙ্কের বিবেচনার অধীনে রয়েছে ৮১৩ টি আবেদনপত্র। বীরভূম জেলাতে ৬৭টির মধ্যে ৬৭ টি আবেদনপত্রই এখনো ব্যাঙ্কের বিবেচনাধীন। কোচবিহার জেলা তে ২২৫ টি আবেদনপত্র কে ব্যাংক গুলিকে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ টি আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে। অনুমোদন হয়েছে ৬৬ টি এবং এখনো ব্যাঙ্কের বিবেচনার অধীনে রয়েছে ১৪৬ টি আবেদনপত্র। দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৭৫টি আবেদনপত্র ব্যাঙ্কগুলিকে পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে একটি মঞ্জুর হয়েছে।১৭৪ টি আবেদনপত্র এখনো ব্যাঙ্কের বিবেচনাধীন। দার্জিলিং জেলায় ব্যাংকের বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে ৩৩১ টি আবেদনপত্র। যার মধ্যে বাতিল হয়েছে ১৭ টি আবেদনপত্র। অনুমোদন হয়েছে ৫ টি আবেদনপত্রের ও ব্যাংকের বিবেচনার জন্য এখনো পড়ে রয়েছে ৩০৯ টি আবেদনপত্র।
আরও পড়ুন: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পাওয়ার থেকে খালি হাতে ফেরার সংখ্যাই বেশি! যে ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য