ইঙ্গিতটা সোমবার বিকেলেই বোঝা গিয়েছিল। যদিও সোমবার ঘন্টা দুয়েক রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে করোনা আবহে কিভাবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন করার কথা ভাবছে রাজ্য তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় শিক্ষা মন্ত্রী ও উচ্চ শিক্ষা সচিবের। যদিও সেই আলোচনাতে উপাচার্যদের ভার্চুয়াল কনফারেন্স নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে নাকি তা অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সোমবার সন্ধ্যেবেলা তেই উপাচার্য পরিষদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে কার্যত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল। উপাচার্য পরিষদের তরফে জারি করা সোমবার সন্ধ্যের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল রাজ্যপাল ভার্চুয়াল কনফারেন্সের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য পরোক্ষভাবে হুমকি দিচ্ছেন উপাচার্যদের। এমনকি যোগ না দিলে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন নোট দিয়ে উপাচার্যদের রাজ্যপাল। সোমবার সন্ধ্যেবেলায় উপাচার্য পরিষদের তরফে জারি করা সেই বিবৃতিতে রাজ্যপালের এই আচরণে তারা অপমানিত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয় উপাচার্য পরিষদের তরফে। বিবৃতি জারির পর কার্যত স্পষ্টই হয়ে যায় রাজ্যপালের বুধবারের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে একপ্রকার যোগ দেবেন না রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রা।
advertisement
যদিও মঙ্গলবার বিকেলে আবারো ট্যুইট করে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে এই ভার্চুয়াল কনফারেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও ট্যুইট করেন এদিন তিনি। যদিও উপাচার্য পরিষদের তরফে মঙ্গলবার রাতেই স্পষ্ট করে দেওয়া হল বুধবারের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে তারা যোগ দিচ্ছেন না। সম্প্রতি রাজ্যপালের ক্ষমতা নিয়ে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর নয়া বিধি করেছে। সেই বিধি মেনেই উপাচার্য পরিষদের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হলো আগামী কালকের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর মারফতে তাদের কাছে কোনো আমন্ত্রণ আসেনি। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উপাচার্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য আরো বলেন, " আমাদের সঙ্গে কারোর কোনো বিরোধ নেই। আমরা বিধি মানতে দায় বদ্ধ"।
SOMRAJ BANDOPADHYAY