#কলকাতা: পুজোর মরসুমে রাজ্য জুড়ে ট্রাক ধর্মঘট। তিন দফা দাবিতে আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলবে এই ধর্মঘট। ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর রাজ্যব্যাপী টানা ৭২ ঘণ্টা ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের দাবি, রাজ্যে অতিরিক্ত এক্সেল লোড চালু করতে হবে এবং ওভারলোডিং বন্ধ করতে হবে। অন্য রাজ্যে এক্সেল লোড চালু করা হয়েছে। এই রাজ্যে কেন্দ্রের মোটর ভেহিক্যালসের নিয়ম মেনে তা চালু করা হয়নি। এই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা সরব ছিল। এ বার একেবারে পুজোর মরসুমে তাঁরা ধর্মঘটের পথে হাঁটল।
advertisement
রাজ্যের অভিযোগ, ওভারলোডিং কারণে খারাপ হচ্ছে রাস্তা। ট্রাক সংগঠন বলছে এর জন্যে দায়ী প্রশাসন। ট্রাকে ওভারলোডিং বন্ধ করতেই হবে। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে ট্রাক মালিক ও চালকদের ওপরে প্রশাসনিক হয়রানি এবং জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যে কখনও পুলিশ, কখনও বা মোটর ভেহিক্যালস দফতরের কর্মীদের জুলুমবাজি অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনের দাবি, করোনাকালে রোড ট্যাক্স, পারমিট এবং ফিটনেসের ক্ষেত্রেও ছাড় দিতে হবে। আজ, কলকাতায় সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বোস। তাঁরা ধর্মঘট নিয়ে অনড় বলে জানিয়েছেন।রাজ্যজুড়ে সোমবার থেকে শুরু হতে চলা টানা ৭২ ঘণ্টা ট্রাক ধর্মঘটের দিনে ভিন রাজ্যের ট্রাকও আটকে দেওয়া হবে রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে।
ওড়িশা, তামিলনাড়ু, অসম, নাগাল্যান্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, বিহার এবং বেঙ্গালুরু থেকে সবজি, মাছ, ডিম, পোশাক ওষুধ সামগ্রী বোঝাই লরি ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেইসঙ্গে এদিন সংগঠনের হুঁশিয়ারি, রাজ্য দাবি না মানলে পুজোর পর সাড়ে ৬ লাখ ট্রাক রাজ্য জুড়ে অবরুদ্ধ করা হবে। পুজোর পরে লাগাতার ট্রাক ধর্মঘট চলবে। তাই তাঁদের দাবি, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। কেন না কঠিন সময়ের মধ্যে রয়েছে ট্রাকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ। ভিন রাজ্যের ট্রাকের থেকেও অতিরিক্ত কর আদায় করা হচ্ছে। যার জেরে দাম চড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর। এ দিন সংগঠনের সভায় রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুজোর পর লাগাতার ট্রাক ধর্মঘটের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তো রয়েছেই । পাশাপাশি ভিন রাজ্যের লরিও ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে। এর জেরে রাজ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ট্রাক সংগঠনের নেতা সুভাষ বোস জানিয়েছেন, "দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে একাধিকবার এই বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সমস্ত স্তরে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আমরা এই পথে হাঁটছি।" ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য জুড়ে তারা সভা করেছেন।