নির্দেশিকায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রাণিসম্পদ দফতরকে ৪০ কোটি টাকা, সমবায় দফতরকে ১৯ কোটি, খাদ্য দফতরকে ৫ কোটি, সেচ দফতরকে ৫৫ কোটি, পঞ্চায়েত দফতরকে ৩০০ কোটি, পূর্ত দফতরকে ১০০ কোটি, মৎস্য দফতরকে ২১.৫০ কোটি, জলসম্পদ দফতরকে ৩০ কোটি, কৃষি দফতরকে ১৫ কোটি, নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরকে ৬০ কোটি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকে ১২.৫০কোটি, স্বাস্থ্য দফতরকে ৩৬.৫০ কোটি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরকে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর।
advertisement
মূলত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জেলায় ও ব্লকে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্যই এই বরাদ্দ বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই বরাদ্দ টাকা দিয়ে বিভিন্ন জেলার উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। তবে কোন কোন প্রকল্পের জন্য এই টাকা খরচ হবে, তা সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি। সবচেয়ে বেশি পঞ্চায়েত দফতর ও পূর্ত দফতরকেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আগামী বছরের শুরুর দিকেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে পূর্ত দফতরকে এবং পঞ্চায়েত দফতরকে সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা খাতে বরাদ্দ টাকা পেয়েছে রাজ্য। যদিও, একশো দিনের কাজের টাকা রাজ্য দ্রুত পাবে বলে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে, ১০০ দিনের কাজের টাকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই রাজ্য পেয়ে গেলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনেকটা সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রাজ্যের প্রশাসনিক মহল।