অতি বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়ার অন্যতম কারণ পলিমাটিতে খাল ও ছোট নদীগুলি মজে যাওয়া। এজন্যই হচ্ছে নদী ভাঙন। তাই এখনই জেলাগুলিতে মজে যাওয়া বা জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া খাল ও নদীগুলি চিহ্নিত করে পলিমাটি তুলে সংস্কারের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। তা না হলে বর্ষায় বন্যার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
advertisement
যে জমিগুলি পলিমাটিতে মজে গিয়েছে তা জেলা কালেক্টরেটের নামেই রেকর্ড রয়েছে। সেগুলি থেকে পলি তোলার কাজ করা যেতে পারে। সম্প্রতি, নদিয়ায় বুড়ি-গঙ্গার মজে যাওয়া পলিমাটি তুলে নদিতে পুর্নজ্জীবিত করার প্রসঙ্গও তুলেছেন। এছাড়া ইছামতী নদীতে যেভাবে নয়া উদ্যোগে রাজ্য কোনও অর্থ ব্যায় না করে রাজস্ব সংগ্রহ করেছে , পাশাপাশি ড্রেজিং করিয়ে নিয়েছে তাও আলোচনায় উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের আগেই ‘জল ধরো, জল ভরো’ কর্মসূচির মাধ্যমে পুকুর কাটার উদ্যোগ করা হয়। এই পরিকল্পনাটি ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্ম প্রকল্পের মাধ্যমে রূপায়ণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজ্যে সরকারি জমিতে লক্ষাধিক পুকুর কাটার কাজ হয়েছে। সে কারণে রাজ্যে মজে যাওয়া খাল সংস্কার করতে চায় রাজ্য সরকার। এর সঙ্গেই সরস্বতী-সহ কানা দামোদর নদীর মতো ছোট নদীগুলি সংস্কারের কাজে হাত দিতে চায় প্রশাসন। তাছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব। সেচ মন্ত্রী মানস ভুইয়া, জানিয়েছেন, এই নয়া উদ্যোগের ফলে বন্যা ঠেকানো যেমন সম্ভব হবে, তেমনই রাজ্যের কোষাগারেও অর্থ আসবে।