সোমবারই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের কাছে দেওয়া ১৫ পাতার চিঠিতে রাজ্য সরকারের পরিষ্কার বক্তব্য অযথা সময় নষ্ট না করে যে সমস্ত উপভোক্তাদের নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই তাঁদের জন্য বরাদ্দ টাকা মানববিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এখনই বরাদ্দ করা দরকার। কারণ মনে রাখতে হবে, গরিব মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকে। উপভোক্তাদের নামের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ১৭ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোথাও কোনও ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তাঁদের টাকা কেনও অকারণে আটকে রাখা হবে? কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের উপভোক্তা নির্বাচন করা নিয়ে বড় কোনও গরমিল পায়নি বলে স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রতিদিন আধঘণ্টা করে কথা বলবেন অনুব্রত! কার সঙ্গে? ৩ আর্জি ঘিরে শোরগোল
আরও পড়ুন: সিগারেটের বাংলা কী জানেন? ৯৯% বাঙালিই জানেন না! আপনি জানলে চ্যাম্পিয়ন
প্রসঙ্গত, ন্যাশানাল লেভেল মনিটারিং এজেন্সি (এনএলএমএ) রাজ্যের দশ জেলার মধ্যে ৭ জেলায় উপভোক্তা তালিকা নিয়ে অভিযোগ পেয়েছে। আবাস প্লাস সমীক্ষা যথাযথভাবে করা হয়নি। অযোগ্যদের নাম ছিল তালিকায়। উপভোক্তাদের জমি নিয়েও অভিযোগ তুলেছে এনএলএমএ। এজন্য কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা এবং আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে। রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ টি বাড়ি তৈরির কোটা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। রাজ্য ঝাড়াই বাছাই করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য ১০ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৯৫ জন যোগ্য উপভোক্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করে। পরে কেন্দ্রীয় সরকার আর এক মাস সময় বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি করে। ফলে রাজ্য সরকার কোটা মতো উপভোক্তাদের নাম চূড়ান্ত করে। প্রতিটি বাড়ি তৈরির খরচ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
যার ৬০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার দেবে। বাকি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। সেই মতো কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প অনুমোদনের সময় ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়ে দেয়। ৩১ মার্চের মধ্যে এই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ শেষ করতে হবে। দ্রুত গতিতে প্রকল্প রূপায়ণের রূপরেখা রাজ সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ করার রূপরেখা তৈরি করে ফেলে।বছর শেষ হতে চললেও কেন্দ্রের কাছ থেকে এই প্রকল্পের জন্য এক পয়সাও পায়নি রাজ্য। বরং নানা কৌশলে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরিতে ‘দুর্নীতি’ বলে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। যার পক্ষে জোরালো কোনও প্রমান নেই বলে মনে করে রাজ্য। এটা রাজ্যের মানুষের প্রতি বঞ্চনার সামিল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়