মূলত মন্দির তৈরি ও মন্দির সংস্কারকে কেন্দ্র করে কত টাকার খরচ হয়েছে সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল বিভিন্ন জেলাগুলির থেকে। প্রসঙ্গত ২০১১ সালের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে একাধিক মন্দির সংস্কার ও মন্দির তৈরি করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর বিভিন্ন জেলাগুলি থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে সেই তথ্যের নিরিখে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার শুধুমাত্র মন্দির তৈরি ও মন্দির সংস্কারের জন্য।
advertisement
যার মধ্যে সবথেকে বেশি বীরভূম জেলায় মন্দির তৈরি ও সংস্কারের কাজ হয়েছে। পাশাপাশি বাঁকুড়া,পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও পিছিয়ে নেই এই পরিসংখ্যানে। নবান্নের একাংশের বক্তব্য মূলত এই মন্দির গুলির তথ্য যাওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে। যদিও কি ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হবে তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। তবে রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে কেন রাজ্যজুড়ে মন্দিরগুলির পরিসংখ্যান নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সংবেদনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “কালীঘাট মন্দিরের জন্য আমরা ১৬৫ কোটি টাকা খরচ করেছি। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন মন্দিরের জন্যই আমরা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছি। গঙ্গাসাগরের জন্য ২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছি আমরা।”
আরও পড়ুন, হাতে আর ৪ দিন! অবস্থান বদলাচ্ছে সূর্য, টাকার বৃষ্টি হবে ৪ রাশিতে
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন ১লা বৈশাখের মধ্যেই যাতে কালীঘাটের যাবতীয় কাজ শেষ করা যায়। তবে শুধু কালীঘাট মন্দির নয়, কোন কোন জেলার কোন মন্দিরগুলির সংস্কার করা হয়েছে বা সেই মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে পর্যটন কতটা উন্নত হয়েছে সেই সম্পর্কেও বেশ কিছু তথ্য দেন এদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মনে করা হচ্ছে এই মন্দিরগুলি পরিসংখ্যান নিয়ে সেই মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে পর্যটন দপ্তর বেশ কিছু পরিকল্পনা করতে পারে। বিশেষত মন্দির গুলির সংলগ্ন এলাকা আরো উন্নত করে সেই এলাকার পর্যটক দের কিভাবে নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে বেশ কিছু ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়