রিপোর্টে নবান্ন জানিয়েছে, বুলবুলে রাজ্যে ৩৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ প্রায় ৫ লক্ষ ১৮ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত৷ প্রায় ১৫ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ বিদ্যুত্ সংক্রান্ত ক্ষতির পরিমাণ ৫৯৭ কোটি টাকা৷ সব মিলিয়ে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে৷
শুক্রবার বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দু'দলে ভাগ হয়ে তারা যায় দুই ২৪ পরগনায়। কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা কথাও বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী চাইছিলেন, রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখুক কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। হেলিকপ্টারে উত্তর ২৪ পরগনার দিকে রওনা দেয় চারজনের প্রতিনিধি দল। আকাশপথে পরিদর্শন করেন সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী যে কপ্টারে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, সেই কপ্টারটিই এ দিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে দেয় রাজ্য সরকার। বসিরহাটের মেরুদণ্ডীতে কপ্টার থেকে নামেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। মহকুমাশাসকের অফিসে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে গাড়িতে যান হাসনাবাদের বরুণহাটে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন।
চারজনের আরেকটি দল সকাল ১১:৩০ নাগাদ পৌঁছয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জে। বুলবুলে বিধ্বস্ত বকখালির কলোনি এলাকা তাঁরা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে। বকখালি থেকে পাথরপ্রতিমা। সেখান থেকে লঞ্চে রাক্ষসখালি।