চিড়িয়াখানার বাঘ সিংহ হাতি জিরাফ কিংবা বিভিন্ন পশু পাখিদের একেবারে কাছে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। শুধু চোখের দেখা অথবা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়াই নয় , এদিন মন্ত্রীকে দেখা গেল এক অন্য ভূমিকায় । চিড়িয়াখানার নিজের হাতে জীবজন্তুদের মুখে খাবার তুলে দিতে দেখা গেল মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সারাদিন কে কী ধরনের খাবার খায় ? নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা হচ্ছে কিনা? চিড়িয়াখানার আবাসিকদের পর্যাপ্ত খাবারের বন্দোবস্ত আছে কিনা? এই যাবতীয় তথ্য খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে আধিকারিকদের কাছে জানতে চান মন্ত্রী। পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আগামী এক মাসের খাবার মজুদ রয়েছে। তবে মুরগির মাংস দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে চিড়িয়াখানায়। প্রতিদিন প্রত্যেক পশু পাখিদের নজরে রেখে চলছে লালন পালনের প্রক্রিয়া। তাদের শারীরিক অবস্থার দিকেও সর্বদা নজর রেখে চলেছেন চিকিৎসকরা'।
advertisement
এদিন বনমন্ত্রীর এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা হল ।জীবনে বহুবার চিড়িয়াখানায় গেলেও এই প্রথম নিজের হাতে জীবজন্তুদের খাবার খাওয়ালেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সিংহকে মাংস , হাতিকে আখ, কিম্বা জিরাফকে তাদের পছন্দের খাবার নিজে হাতে করে এদিন তুলে দিতে দেখা গেল বনমন্ত্রীকে। এর অনুভূতিটাই আলাদা। 'আমার জীবনের একটি অন্যতম স্মরণীয় দিন হয়ে থাকল আজকের দিনটি'। জানালেন খোদ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'আমরা ওদের পাশে আছি। লকডাউনের জেরে ওরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়ে তার জন্য বনদফতর কর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে'। তবে কবে থেকে চিড়িয়াখানা দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে ? সে ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, লকডাউন শেষ হওয়ার পরেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে ।