বন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এই চন্দন গাছ চাষের ক্ষেত্রে আগ্রহ যোগাবে সরকার । লাল চন্দন এবং শ্বেত চন্দন উভয় চারাই আনা হবে বলে খবর বন দফতর সূত্রে। চন্দন গাছ চাষের জন্য কোনও বিশেষ ধরনের মাটির প্রয়োজন হয় না। চন্দন গাছ যে কোনও রকম মাটিতেই বেড়ে উঠতে পারে। তবে অত্যধিক গরমে চন্দন গাছ চাষ সেভাবে করা হয় না।
advertisement
রাজ্যের কোন অংশের মাটি এবং জলবায়ু চন্দন গাছের জন্য সবথেকে উৎকৃষ্ট হবে তার জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও সেরেছে রাজ্যের বন দফতর। রাজ্য বনদফতরের উপার্জনের একটা বড় অংশ পশ্চিমের জেলাগুলির শাল সেগুন মেহগনি মত দামি কাঠের গাছগুলি থেকে হয়।
আরও পড়ুন : ওভারহেড পোস্টে চড়ে বসলেন এক ব্যক্তি, থমকে গেল হাওড়া স্টেশনে ট্রেন চলাচল
চন্দন সেই তালিকায় সংযুক্ত হলে, আয়ের পরিমাণ আরও অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে বন মহোৎসবের মরশুমে অন্যান্য গাছের সঙ্গে চন্দনের চারা বিতরণের ভাবনাও রয়েছে রাজ্য বন দফতরের।
আরও পড়ুন : কলকাতায় ১৮-র নীচেই পারদ, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এক একটি শ্বেত চন্দন গাছের চারার দাম প্রায় ৫০০ টাকার কাছাকাছি। চন্দন গাছের চাষের ক্ষেত্রেও তৎক্ষণাৎ মুনাফা অর্জন করা সম্ভব নয়। ভাল জাতের চন্দনের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৩ বছর লাগে গাছের কাঠ বিক্রির যথোপযুক্ত হতে। প্রথম চার পাঁচ বছরে কোনও সুগন্ধ না থাকলেও, পরের দিকে সুগন্ধি হয়ে ওঠে এই গাছের কাঠ। চন্দন গাছ চাষের ক্ষেত্রে সঙ্গে হোস্ট গাছ হিসেবে অন্য গাছের চাষও করতে হয়। দামি গাছ হওয়ার কারণে চন্দন গাছ চাষের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকেও নজর দিতে হয়। তবে যিনি এই গাছের চাষ করবেন, সঠিকভাবে চাষ করতে পারলে বছর ১৫ পর যথেষ্ট লাভের মুখ দেখবেন তিনি, সঙ্গে রাজ্যের আয়ও বাড়বে, দাবি পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের।