আজ থেকেই শুরু রাজ্য বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যপাল হিসাবে প্রথম ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল সিভি আনন্দ বোস-এর।
সেই মতো নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ভাষণ পাঠ করতে শুরু করেন তিনি। এদিন তাঁর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। যা এর আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ক্ষেত্রে হয়নি। তা অবশ্য খানিক বিতর্কও তৈরি হয় অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আজ নয় কাল, জেলে যেতেই হবে', সংসদে দাঁড়িয়ে কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত?
তবে রাজ্যপাল বক্তৃতা পাঠ করা শুরুর পর পরই বিধানসভায় হট্টগোল শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়কেরা। যার জেরে কার্যত রাজ্যপালের বক্তৃতার কোনও শব্দই স্পষ্ট ভাবে শোনা যায়নি এদিন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের বক্তৃতার মঝেই বিধানসভা কক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা। অভিযোগ, এই সময় রাজ্যপালের দিকে আঙুল উঁচিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে 'শেম শেম' বলতেও শোনা যায়।
বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যপাল যে বিবৃতি পাঠ করছিলেন, তার একাধিক অংশ অসত্য এবং তা তাঁরা মেনে নিতে পারেননি। সেই কারণেই তাঁদের এই প্রতিবাদ। বিজেপি অসীম সরকার জানান, তাঁরা চেয়েছিলেন যাতে সুষ্ঠুভাবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হোক। কিন্তু রাজ্যপাল যেই বিবৃতি দিতে শুরু করেন, তা তাঁরা মেনে নিতে পারেননি। আরেক বিজেপি বিধায়কের কথায়, "শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রশংসা করা হয়েছে। বর্তমান অস্থিরতার কথা বলেননি, কোনও চাকরির কথা বলেননি। করোনার সময় মুখ্যমন্ত্রী কী কাজ করেছেন, তাঁর বয়ান দিয়েছেন শুধু।"
আরও পড়ুন: লোকসভায় দাঁড়িয়ে এ কী বললেন মহুয়া! লজ্জিত বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনি-ও
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর মন্তব্য, "যা হয়েছে, তা অনাঙ্ক্ষিত। কিন্তু, বুঝতে হবে, তালি কখনও একহাতে বাজে না। যে বিবৃতি রাজ্যপাল দিয়েছেন তাঁর অনেক অংশ নিয়ে বিজেপি বিধায়কদের আপত্তি রয়েছে। আজ বিধানসভা কক্ষে যা ঘটল তার দায় এড়াতে পারে না সরকার।"
অন্যদিকে, এদিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "বাংলার ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি। এঁরা সংবিধান মানেন না। এঁরা যখন সংবিধান মানেন না, তখন এঁদের এখানে থাকার অধিকার আছে কি না, ভেবে দেখতে হবে।" এরপরেই ফিরহাদের মন্তব্য, "জগদীপ ধনখড়কে নিয়েও তো আমাদের অনেক আপত্তি ছিল। কিন্তু আমরা কখনও রাজ্যপালকে হায় হায় বলিনি। কেন্দ্রের সরকার ওঁদের এইসব করতে পাঠিয়েছে।"