উপরন্তু, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এসএসকেএম-এর দুই আবাসিক ছাত্রের নিগ্রহের ঘটনাও সামনে আনা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে নিগৃহীতদের সহকর্মী চিকিৎসকরা জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন ওই দুই আবাসিক চিকিৎসক। এর পরই পুলিশ এবং স্বঘোষিত আরজি কর চিকিৎসকদের হাতে তাঁরা নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। প্রেস বিবৃতিতে সতীর্থ ডাক্তারদের উপর এই হিংসাত্মক আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আবাসিক ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, “আরজি কর কাণ্ড এবং এ ধরনের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিচ্ছে।”
advertisement
আরও পড়ুন- খুন ও ধর্ষণের পর জুতো থেকে রক্ত ধুয়েছিল সঞ্জয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
এর পরই প্রেস বিবৃতিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, নন এমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধই থাকবে এসএসকেএম-এ, যদি না তাঁদের দাবি পূরণ করা হয়। কী কী দাবি, স্পষ্ট করা আছে ওই বিবৃতিতেই।
প্রথমত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ চান তাঁরা। দাবি করেন, “সঠিক পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। কর্তৃপক্ষকে মানতে হবে, তারা ব্যর্থ।” আবাসিক ডাক্তাররা আরও বলেন, “পদক্ষেপ করা হোক, সেটাই দেখতে চাইছি। নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। সিবিআই তদন্ত চাইছি।” সেই সঙ্গে এসএসকেএম-এর প্রতিবাদ করতে যাওয়া ডাক্তারদের মারধর করার জন্যও ক্ষমা চাইতে হবে, এমনই জানান তাঁরা।