হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করেছে এসএসসি। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য সরকারও। শীর্ষ আদালতে পৃথক ভাবে মামলা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
advertisement
আদালতের তরফে এসএসসি-র বিরুদ্ধে অসহযোগিতার যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তা খণ্ডন করার চেষ্টা করেন এসএসসির চেয়ারম্যান।
যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিল এসএসসি৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দিয়েছিলাম। হলফনামায় আদালত সন্তুষ্ট হয়নি। ১৮ ডিসেম্বর ফের হলফনামা জমা দেওয়া হয়।’’ এর আগেও এসএসসির তরফে দাবি করা হয়েছিল, তারা যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘‘ধরে নেওয়া যেতে পারে বাকি ১৯০০০ যোগ্য। কোনও ভুল বাকিদের ক্ষেত্রে নেই এটা কেউ সার্টিফিকেট দিতে পারবে না তবে আমরা বিভিন্ন তথ্য- নথির ভিত্তিতে যে তথ্য পেয়েছি এখনও পর্যন্ত সেটা আদালতকে দেওয়া হয়েছে৷’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তরফে ৫৩০০ জনের নাম দেওয়া হয়েছিল৷ যাঁকা ‘অযোগ্য’ বা বিতর্কিত৷ এর মধ্যে অযোগ্যদের সংখ্যাটাই বেশি৷ আদালতকে সম্মান করেছি। কিন্তু অনেকে যে বলছে এসএসসি কোনও তথ্য দেয়নি, সেটা ঠিক তথ্য নয়৷ ’’