শনিবার ইডির অভিযান হয় অয়নের বাড়িতে। সূত্রের খবর, তার আগেই নাকি কোনও এক রহস্যময়ী অয়নকে চ্যাটে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, তাঁর বাড়িতে ইডি রেড করতে পারে। শুক্রবার রাতে অয়নের চ্যাট হিস্ট্রি ঘেঁটে দেখা গিয়েছিল, 'Ed রেড করতে পারে। জিনিসপত্র সরিয়ে নাও। এখান থেকে চলে যাও।' এই চ্যাট দেখে রীতিমতো তাজ্জব গোয়ন্দারা। কী করে তল্লাশির একদিন আগে এরকম সন্দেহপ্রকাশ করলেন ওই মহিলা? কে ছিলেন ওই মহিলা? তিনি কি অয়নের বান্ধবী শ্বেতা, নাকি অন্য কেউ, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি ইডি-র তরফে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরীতে বঙ্গভবনের জমি দেখেই জগন্নাথ ধামে পুজো, প্রতিবেশী রাজ্যে আজ মমতার ঠাসা কর্মসূচি
ইডি সূত্রের খবর, অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নামে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। একজন উঠতি মডেলের এত সম্পত্তি কীভাবে থাকতে পারে, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, মহেন্দ্র প্রাসাদ ও রাজেন্দ্র প্রসাদের থেকে সম্পত্তি কিনেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। কীভাবে কোথা থেকে এসেছিল সেই টাকা? তাহলে কী অয়নের টাকাতেই সম্পত্তির কেনাবেচা? এ সমস্ত কিছুই জানতে চায় ইডি।
শনিবার অয়নের বাড়িতে ইডি যাওয়ার দিন থেকে শ্বেতা চক্রবর্তী পুরসভার অফিসে আর যাননি। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী কী ভাবে কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পেলেন? কবে পরীক্ষা দিয়েছেন? কীভাবে চাকরি? এখানেও কি কোনও রহস্য লুকিয়ে? তদন্ত করে খতিয়ে দেখছে ইডি। প্রসঙ্গত, পুরসভার চাকরি নিয়োগ দুর্নীতির কারখানাও ছিল সল্টলেকের অয়নের অফিস।
শুধু বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীই নয়। ইডির নজরে রয়েছে অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীল এবং বাবা সদানন্দ শীলের সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। অয়ন শীলের সম্পত্তির পাশাপাশি তাঁর ছেলে এবং বাবারও বিপুল সম্পত্তি। অভিষেক শীলের নামে হুগলির পেট্রোল পাম্প, শুক্লা সার্ভিস সেন্টার ল্যান্ড অ্যান্ড বিল্ডিং। এই পেট্রোল পাম্প অ্যাকাউন্টয়েও কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অভিষেকের ও তাঁর বান্ধবী ইমনের নামে রয়েছে ফার্ম হাউস "দা ফসিলস"। অয়নের বাবা সদানন্দ শীলের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ছেলে অভিষেক শীলের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের উপরেও নজর রয়েছে ইডির।
ARPITA HAZRA