পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতায় এখনও সেই প্রভাবশালী তত্ত্বকেই হাতিয়ার করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ এদিন পার্থের জামিন মামলার শুনানি চলাকালীন ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘গ্রেফতার হওয়ার মূহুর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অ্যারেস্ট মেমোতে আত্মীয় হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেছিলেন৷ এমনকি, গ্রেফতারির সময় তাঁকে যখন বলা হয়েছিল, তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, কাকে জানাবেন? তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ফোন ধরেননি।’’
advertisement
আরও পড়ুন: আবারও নন্দীগ্রাম! আবারও মমতা vs শুভেন্দু, একুশের ভোট নিয়ে তেইশেও তরজা দেখল বিধানসভা
এরপরেই ইডি-র আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এতটাই প্রভাবশালী যে, গ্রেফতার হয়ে সংশোধনাগারে গিয়েও হাতের আঙুলে আংটি পরতেন। যা নিয়ে এখন আইনি মামলায় পড়তে হয়েছে খোদ জেল সুপারকে৷ সংশোধনাগার থেকে আদালতে আনার সময় বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন। তাঁর জন্য অন্যরকম গাড়ির ব্যবস্থা থাকে। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার র্যাঙ্কের অফিসার পাহারারত থাকেন৷ গ্রেফতারের পরে তাঁকে নিয়ে এইএমসে যেতে হয়েছিল৷
ইডি-র তরফে শুনানি শেষ হলেও, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার রায়দান আপাতত স্থগিত রাখে আদালত৷ ২০২২ সালের ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে একে একে উদ্ধার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা৷ টাকার পাহাড় গুনতে রাত কাবার হয়ে যায় ইডি আধিকারিকদের৷
সেই রাতেই গ্রেফতার করা হয় পার্থকে৷ জানা যায়, গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন পার্থ৷ কিন্তু, সেই ফোন মমতা ধরেননি৷ শোনা যায়, পরে ঘনিষ্ঠ মহলে এ নিয়ে কিঞ্চিৎ উষ্মাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি৷