প্রকাশিত ১৮৩ জনের তালিকার মধ্যে ১০০ জন চাকরি প্রার্থী বিভিন্ন স্কুলে চাকরিতে যোগই দেননি বলে খবর। বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শকরা কমিশনকে এমনই রিপোর্ট পাঠিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই বিষয় নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার কোন মন্তব্য করতে নারাজ।
আরও পড়ুন: কাজের নামে 'বাবুগিরি'? সরকারি কর্মীদের উদাসীনতা নিয়ে কড়া হাইকোর্ট
advertisement
কমিশন সূত্রে খবর ,এই তালিকায় নাম থাকা কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী আবার পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন এসএসসিকে। সবমিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয় জন চাকরি প্রার্থী পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন। প্রকাশিত তালিকায় নাম থাকা কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর চাকরি হাইকোর্টের নির্দেশে চলে গিয়েছে বলেও কমিশন সূত্রে খবর।
কমিশনের আধিকারিকদের ধারণা, এই ১৮৩ জনের তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরি প্রার্থী এখনও স্কুলে কাজ করছেন। সেই রিপোর্টও ইতিমধ্যেই এসএসসির হাতে এসেছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। গোটা বিষয়টি এসএসসি হাইকোর্টকে জানাবে বলেও কমিশনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্ত করছে হাইকোর্টের নির্দেশে। সেই তদন্তে নবম দশম শিক্ষক নিয়োগে ১৮৩ জনের ভুয়ো সুপারিশের তথ্য উঠে আসে। তার ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট এই তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দেয়।
যদিও কমিশন সূত্রে খবর, তালিকায় থাকা কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কমিশনকে প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছে। প্রতিবাদ পত্রে তারা উল্লেখ করেছেন, চাকরিতে যোগ না দেওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁদের নাম কেন ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে? কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৩০টি চিঠি এই ধরনের প্রতিবাদ পত্র হিসেবে এসেছে কমিশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। প্রার্থীদের পাঠানো এই প্রতিবাদ পত্রগুলি নিয়েও চিন্তিত কমিশনার আধিকারিকরা। যদিও চাকরি প্রার্থীরা যে প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছেন তার কোন উত্তর দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন।