গত বছরের পুজোর ঠিক আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু সেই মেধাতালিকায় গরমিলের অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থী। তারই পাশাপাশি টেট-এও নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে এসএসসির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আবেদনকারী প্রার্থীরা। পুজোর পরেই এই মামলায় উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়াতে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় পুরো প্রক্রিয়াই এখন আটকে রয়েছে। সেই আইনি প্রক্রিয়ায় এবার ত্বরান্বিত করতে আসরে নেমেছে স্কুল শিক্ষা দফতরও।
advertisement
স্কুল সার্ভিস কমিশন ইতিমধ্যেই নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলেছে। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারায় নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারছে না এসএসসি। যার জেরে সমস্যাতেও পড়েছে কমিশন। ইতিমধ্যেই নয়া শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া় নিয়ে নয়া বিধিও বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। নয়া বিধি মোতাবেক শিক্ষক নিয়ো়গ করতে হলে উচ্চ প্রাথমিক,নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ একসঙ্গেই করতে হবে। যা নিয়ে এই মূলত সমস্যায়় স্কুল সার্ভিস কমিশন।স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তিনটি বিভাগেরই প্রচুুুর শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। সেই শূন্যপদগুলিতেও দ্রুত নিয়োগ করতে চায় স্কুল শিক্ষা দফতর।
মূলত নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার জন্য উচ্চ প্রাথমিকের মামলার তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি করতে চায় স্কুল শিক্ষা দফতর। যার জন্যই হাইকোর্টের কাছে দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন রেখেছে এসএসসি। আগামী শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকের মামলার শুনানি আছে। ওই দিনও কমিশনের তরফে ফের আর্জি জানানো হবে বলেই সূত্রের খবর। যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কমিশনের কর্তারা।
SOMRAJ BANDOPADHYAY