শ্রম আইন মেনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চাকরি বাতিলের রায় চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফেও পৃথক ভাবে মামলা করা হয়েছে। সেখান থেকে যা নির্দেশ হবে, তার আগে পর্যন্ত কারও বেতন বন্ধ করা হবে না, দাবি সরকারের।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখা প্রাকৃতির, নেপালি কন্যের মুক্তাক্ষর MS Word-এর ফন্টকেও হার মানায়
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, ‘কে বুদ্ধি দেয় ওকে। আজ যদি বেতন বন্ধ না করে, সুপ্রিম কোর্ট মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেতন দিয়ে যায় তাহলে বিপদ আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। তবে এপ্রিল মাসের বেতন দিতেই পারে। যেহেতু এপ্রিল মাসে যোগ্য শিক্ষকরা কাজ করেছেন। সেক্ষেত্রে ২২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত।’
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে দ্বিতীয়বার, রেকর্ড গরম কলকাতায়! তাপপ্রবাহের স্পেল আর কতদিন? আবহাওয়ার বড় খবর
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্ণব হাজরা