গত সোমবার এক জন দু’জন নয়, ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত৷ এখানেই শেষ নয়৷ সোমবার আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, টাকা ফেরাতে হবে চাকরি প্রাপকদের। ১,১১৩ জনকে সুদ সমেত টাকা ফেরাতে হবে তাদের গত ৮ বছরের বেতন। আর তা ফেরত দিতে হবে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই।
advertisement
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবীরা জানান, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল। সোমা দাস ছাড়া সকলের প্যানেল বাতিল। যতজন মাইনে পেয়েছেন চার সপ্তাহের মধ্যে তা ফেরাতে হবে। ডিএমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিআই তা ডিএম-কে জানাবেন। এই প্যানেলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ সকলের ক্ষেত্রেই এই রায় প্রযোজ্য হবে।
আদালত ওইদিন জানায়,লোকসভার নির্বাচন পর্ব মেটার পরে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে৷ ততদিন বাতিল থাকবে সমস্ত বেতন বন্ধ৷ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির জন্য সিবিআই মনে করলে সাসপেক্টেডদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
আদালতের এই রায় ঘোষণার পরেই রীতিমতো শোরগেল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে৷ এসএসসি চেয়ারম্যান ওই দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের কাছে ৫০০০ জনের বেআইনি উপায়ে চাকরি পাওয়ার তথ্য জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তাহলে, বাকি হাজার হাজার চাকরিপ্রাপকের চাকরি গেল কেন? সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন, এই রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা৷