কোনও ভুয়ো ডকুমেন্টস দিয়ে কোনও চাকরিপ্রার্থী আবেদন করছেন কি না, এসএসসি আধিকারিকদের কোনও ডকুমেন্টসের কোনও তথ্য নজর এড়িয়ে গেল কি না, তা মূলত যাচাই করার জন্যই এসএসসি ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: সুপারিশ পত্র পাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যেই করতে হবে এই কাজ, স্বচ্ছতা রক্ষায় বড় সিদ্ধান্ত SSC-র
advertisement
এক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা রাখা হচ্ছে ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেটকে নিয়েও। তিনটি পর্যায়ে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন হওয়ার পরেই সিলমোহর দেবে এসএসসি।
এছাড়াও, কোন চাকরি প্রার্থী কোন স্কুলে চাকরি পাচ্ছেন? চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশ পত্র দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসএসসি তার ওয়েবসাইটে আপলোড করবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বলে সূত্রের খবর।
তাঁর মেরিট অথবা তাঁর র্যাঙ্ক অনুযায়ী তিনি কোন স্কুলের কোন জেলায় চাকরি পেলেন নিয়োগপত্র পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই এসএসসি তা ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন। নবম – দশম এবং একাদশ – দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এমনই স্বচ্ছতার বার্তা দিতে চায় এসএসসি।
আরও পড়ুন: দেখা করবেন না শাহের সঙ্গে, কেন? বুঝিয়ে দিলেন ‘অভিমানী’ দিলীপ…বললেন, ‘কীসের অভিমান?’
বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে এসএসসি৷ সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে শুরু, কাউন্সেলিং নভেম্বর পর্যন্ত৷ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই নয়া নিয়োগ বিধিও প্রকাশ করেছে রাজ্য৷ সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন খাতে রাখা হয়েছে কত নম্বর৷ পূর্ববর্তী নিয়মের থেকে অনেকে ক্ষেত্রেই বদল আনা হয়েছে সেখানে৷ বদলেছে নম্বর বিভাজন রীতি৷ নবম -দশম ও একাদশ- দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের বিধি অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, ইন্টারভিউ, ক্লাস করানোর ক্ষমতা উপর তৈরি হবে প্যানেল।
নিয়োগ বিধিতে জানানো হয়েছে, মোট ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে OMR শিট-এ।
১০ নম্বর থাকবে শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য। এক্ষেত্রে, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেলেই ১০ নম্বর পাবেন। ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেলে ৮ নম্বর ও ৫০ শতাংশের কম পেলে ৬ নম্বর দেওয়া হবে।
এছাড়াও, নয়া নিয়োগ বিধিতে কর্মরত শিক্ষকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য রাখা হয়েছে ১০ নম্বর৷ সরকারি বা সরকারি নিয়ন্ত্রিত স্কুলে প্রতিবছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য পাওয়া যাবে দুই নম্বর করে। এক্ষেত্রে কারোর পাঁচ বছর বা তার বেশি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে মিলবে পুরো ১০ নম্বর।