কেন চাকরি বহাল রইল সোমা দাসের? আদালত জানিয়েছে, মানবিক কারণেই সোমবার তাঁর চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সোমবারের রায় শোনার পর সোমা দাস বলেন, “আমি চাকরিটা মানবিক গ্রাউন্ডে পাই ঠিকই। তবে আমি কিন্তু যোগ্য, সাধারণ প্রার্থী হিসাবেই গিয়েছিলাম। আমাদের আন্দোলনের ভিত্তি কিন্তু দুর্নীাতি।”
advertisement
আরও পড়ুন: SSC-তে চাকরি গেল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের, কিন্তু বেতন ফেরত দিতে হবে কত জনকে? জানুন আসল তথ্য
সোমার সংযোজন, ”আজকের এই রায় প্রমাণ করে দিল কতটা এই প্যানেলে দুর্নীতি হয়েছিল। তবে একইসঙ্গে বলব, প্যানেলে বহু যোগ্যকে যেমন ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছে, তেমনই অনেক যোগ্য চাকরি পেয়েছিলেন, আজ তাদেরও চাকরি চলে গিয়েছে। আমার মনে হয় দ্রুত তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়া দরকার। সসম্মানে যাতে তাঁরা স্কুলে যেতে পারেন।”
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমাকে শিক্ষকতার চাকরির বদলে অন্য সরকারি চাকরি গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরে সোমার সঙ্গে কথা বলে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন, দ্রুত সোমার চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কলকাতা হাই কোর্টের আবেদনকে মান্যতা দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) তরফে ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসকে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়। তার পর তিনি বীরভূমের নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের মধুরা হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন সোমা।