বিধানসভা সূত্রে খবর, বাজেট অধিবেশনের জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট। রীতি অনুযায়ী, রাজ্যপালের ভাষণেই অধিবেশন শুরু হয়। রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্যই পড়েন রাজ্যপাল ৷ কিন্তু কপিবুক মেনে কি আদৌ কাজ করবেন রাজ্যপাল ? নাকি কেরলের রাজ্যপালের মতো প্রকাশ্য়েই বিরোধিতা করে বসবেন ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ধনখড়ের যা ট্র্য়াক রেকর্ড, তাতে অশান্তির আশঙ্কা ষোলো আনা ৷
advertisement
দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে কেরলই বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করায় ৷ এরপর বুধবার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের জন্য লিখিত ভাষণেও, সিএএ বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় কেরলের বাম সরকার। ভাষণের সেই বিশেষ অংশ নিয়েই তীব্র আপত্তি তোলেন রাজ্য়পাল আরিফ মহম্মদ খান ৷ সিএএ বিরোধী অংশ পড়ার আগে তিনি বলেন, ওই মতামতের সঙ্গে একমত নন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেই পড়ছেন।
কেরলের রাজ্যপালের এই ভূমিকা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যপালের ভাষণে সিএএ বিরোধিতার প্রসঙ্গ রেখে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে চাপে ফেলে দিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন ৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার একই পথে হাঁটলে, ফের নবান্ন-রাজভবন সংঘাতের আশঙ্কা থাকছে ৷ সেক্ষেত্রে বিরোধীরা তো বটেই, শাসক দলের অনেক নেতা মন্ত্রীরও আশঙ্কা, রাজ্য় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে কসুর করবেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ৷
যাদবপুর থেকে শুরু করে কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সমাবর্তনকে ঘিরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত বেড়েই চলেছে ৷ তাই আসন্ন বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভূমিকাকে ঘিরে আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে শাসক দলের। এই পরিস্থিতিতে বাজেট অধিবেশনে কেরলকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হয় কিনা, সেটাই দেখার ৷
Arup Dutta