কীভাবে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা খতিয়ে দেখতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে আলোচনা চক্রের আয়োজন করাহয়৷ উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা অসমের ৪০ জন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এদিন কলকাতার বেসরকারি হোটেলে উপস্থিত হন। সেখানে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য অধিকারিকেরা যেমন ছিলেন, তেমনি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইকো ইন্ডিয়ার চিফ অপারেটিং অফিসার সুরজিৎ চট্টরাজ ও ডাক্তার সন্দীপ ভাল্লা-সহ অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: চলে গেলেন 'এক টাকার ডাক্তার', সুশোভনবাবুর জীবনের অজানা ৬ কাহিনি জানলে চমকে উঠবেন
করোনার সময় থেকে মানসিক রোগ গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। গোটা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে মানসিক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের হাল ভাল রাখতে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথ ভাবে কাজ করে চলেছে। ইতিমধ্যে চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ দিয়ে শুরু হয়েছে। আলোচনা সভার শেষে কলকাতা পুরসভার সেমিনার হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ জানান, চিকিৎসকদের পরে নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন: এজেন্সির নাম করে টাকা লুঠ! বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার, মনে পড়ছে ব্রিটিশ অত্যাচার
মনের আলো এই নামের একটি প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকেরা পেয়েছেন। ফলে মানসিক রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন তাঁরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রোগী জানেন না বা বুঝতে পারেন না যে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি পাঠানো হবে এএনএম, জিএনএম নার্সদের। পাঠানো হবে সাম্মানিক স্বাস্থ্যকর্মীদেরও। তাঁরা কথা বলবেন, তথ্য সংগ্রহ করবেন, বুঝবেন ওই নাগরিকের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রাথমিক অবস্থা। আর রোগীদের সেই অবস্থা বোঝার জন্য এদের এবার কলকাতা পুরসভা ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রশিক্ষণ দেবেন। নাম দেওয়া হচ্ছে "মন ভালো হোক" । তাতে তাঁরা নাগরিকদের চিহ্নিত করে চিকিৎসকদের কাছে ইউপিএইচসিতে পাঠাতে পারবেন। এর ফলে মানসিক রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলের তরফে।