উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ২৫০ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে উলুবেড়িয়ার কল্যাণব্রত উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র শুভজিৎ মালিক। অন্য ছাত্রদের থেকে একটু আলাদা শুভজিৎ। বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় মায়ের কোলে করেই স্কুল ও টিউশনে যেতে হয় শুভজিৎকে। জন্ম থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে তাঁর ভরসা মায়ের কোলই।
শুভজিৎ ক্লাস ফোরে পড়ার সময়ে তার বাবাকে হারিয়েছে। এরপর থেকেই অভাব গ্রাস করেছে মা-ছেলেকে। পড়ার ফাঁকে টিউশনি করে শুভজিৎ। আগামি দিনে শুভজিৎ শিক্ষক হতে চাইলেও তার কলেজের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা কণিকা মালিক।
advertisement
ক্যানিঙে সর্দার বাড়িতে যমজ কৃতি রাখী ও পূর্ণিমা। কেজি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত দুই বোনের মার্কশিটে নম্বরের কোনও পার্থক্য ছিল না। ক্যানিং ট্যাংরাখালি পরশুরাম যামিনী স্কুলের এই দুই ছাত্রীর মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ছিল সাতশোয় ৬১২। উচ্চমাধ্যমিকে সেই রেকর্ড ভাঙল দুই বোন। পূণির্মার থেকে দুই নম্বর বেশি পেয়ে রাখী পেয়েছে পাঁচশোয় ৪৭৯। দুই বোন সব বিষয়েই পেয়েছে লেটার মার্কস। বাবা-মায়ের চপের দোকান। সেখানেই সন্ধের পর সাহায্য করে দুই বোন। অভাবের সংসারে দুই কৃতির প্রায় ৯৬ শতাংশ নম্বর। ডব্লুবিসিএস অফিসার হতে চাইলেও প্রশ্ন, পড়াবে কে?
প্রতিবন্ধকতাকে হারালেও আর্থিক প্রতিবন্ধকতা চোখ রাঙাচ্ছে শুভজিতকে। দোকানে চপ বিক্রি করে ডব্লুবিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন কি শুকিয়ে যাবে ক্যানিঙের রাখী-পূর্ণিমার? সরকার, ক্লাব বা ব্যক্তিগত সাহায্য। কারও হাত ধরে সামনে এগোতে চাইছে ওরাও।