এই চিঠিতে বলা হয়েছে, শোভন-রত্নার বিচ্ছেদ মামলা চলছে। রত্না এবং তাঁর সঙ্গীরা হাসপাতালে ঢুকে অশান্তি তৈরি করতে পারেন বলে শোভন আশঙ্কা করছেন। এই কারণেই শোভনের ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকেও যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়, সুপারকে অনুরোধ করেছেন শোভনের আইনজীবী।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় বুকে ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি। তাঁর উদ্বেগের সমস্যাও রয়েছে, রয়েছে ডায়াবিটিস। সেক্ষেত্রে শোভনের ভয় রত্না হাসপাতালে গেলে সমস্যা তৈরি হতে পারে, উদ্বিগ্ন হতে পারেন শোভন। এই আশঙ্কা থেকেই রত্নার আসায় 'না'।
advertisement
প্রসঙ্গত নারদা মামলায় সোমবার রাজ্যে যে চার নেতামন্ত্রীকে সিবিআই হেফাজতে নিয়েছে তাঁদের একজন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যিনি তৃণমূলেও নেই, আবার বিজেপিও ছেড়েছেন। কিন্তু দুঃসময়ে তিনি পাশে পেয়েছিলেন স্ত্রী রত্না এবং বান্ধবী বৈশাখী দুজনকেই। বৈশাখীকে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায। অন্য দিকে রত্না বলেছিলেন বিপদের সময় পরিবারের পাশে থাকার কথাই, কিন্তু শোভনের করা পদক্ষেপে এটুকু পরিষ্কার, পরিবার বলতে তিনি আর রত্না এবং দুই সন্তানকে বোঝেন না। বরং বিচ্ছেদকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তিনি। নারদা মামলার শুনানি নিয়ে যখন রাজ্য-রাজনীতি ফের সরগরম, তখন শোভনের এই পদক্ষেপ নতুন বিতর্কের জন্ম দেবে তা বলাই বাহুল্য।