সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, তৎকালীন কলকাতা পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন উত্তম মঞ্চ বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার হাতে চলে যায়। সেই সমস্ত বিষয়েই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আইকোর মামলায় উইটনেস হিসাবে ডাকা হয়েছিল, বেশ কিছু জিনিস জানার ছিল ওদের। ক্রমে নিজেই তিনি খোলসা করলেন ঠিক কী জানতে চায় সিবিআই। একটা সময় গলা ধরে এল নস্টালজিয়ায়।
advertisement
শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, "আপনারা জানেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উত্তম কুমার সম্পর্কে ভালোবাসা তার পরিপেক্ষিতে তার ভাই তরুণ কুমার ও অন্যান্যরা মিলে উত্তম মঞ্চ তৈরি হয়েছিল।উত্তম মঞ্চ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে খবর পাওয়া যায় তখন আমরা কলকাতা পৌরসভা থেকে পদক্ষেপ করি। তার আগে কলকাতা পৌরসভার মেয়র হয়েছিলাম। উত্তমকুমার নামাঙ্কিত মঞ্চ ভেঙে ফেলা হবে, সেখানে মাল্টিস্টোর কমপ্লেক্স হবে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না ।আমি তখন জানতে পারি আইকোর এটা কিনেছে বা কোনও ভাবে লিজ নিয়েছে। এই পরিপেক্ষিতে কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলে ছিলাম যে এর জন্য যদি কোনও অর্থ ব্যায় করতে হয়, যে অর্থে কিনেছে কোনও ধরনের ইন্টারেস্ট বা কোনো কিছু দিতে পারব না।"
আরও পড়ুন-খেল দেখিয়েছিলেন ভাঙা পায়ে, এবার হাসিমুখে পায়ে হেঁটে ভোট দিয়ে গেলেন মমতা
উত্তম মঞ্চের আধুনিকীকরণ নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ((Sovan Chatterjee meets CBI)। বক্তব্য, "সব ধরণের জটিলতা মিশিয়ে কলকাতা পৌরসভার অফিসাররা পুরো জিনিসটা পর্যালোচনা করেছিল বহু টাকা খরচা করে অত্যন্ত আধুনিকতম হল হিসাবে কলকাতা পৌরসভা হাজরার কাছে উত্তম মঞ্চ পরিচালনা করে হয়েছে।"
রাজনীতির আবর্ত থেকে তো বটেই আজ প্রশাসনিক ভূমিকা থেকেও বহুদূরে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। সে কথাও টেনে আনলেন তিনিই। বললেন, "আজ আমি কলকাতা পুরসভায় নেই তাই সেই সব পেপার নেই ।সেই সময় নস্টালজিয় হয়ে পড়েছিলেন ফাইলগুলো দেখছিলাম।"
রিপোর্টার-অনুপ চক্রবর্তী।