শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁর হঠাৎ খড়দহ-যাত্রা সম্পর্কে বললেন, "জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই জেলা দেখে, সৌগত রায় সাংসদ এলাকা দেখে। ওদের সাথে আমি কথা বলে নিয়েছি। খড়দহের একটি সংগঠন আমাকে ডেকেছে। আমি তাই যাচ্ছি। দল আমাকে এখনও কিছু বলেনি। তবে এটা মানুষের পাশে থাকার কাজ। কালকের কাজে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।" অর্থাৎ শোভন হ্যাঁ না বললেও, না- বলছেন না। দলীয় নির্দেশ পেলে যে তিনি অক্লেশে খড়দহ থেকে লড়বেন তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন হাভেভাবে।
advertisement
এবার ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ ২৮ হাজার ৫০৭ ভোটে হেরেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিদ্যুৎমন্ত্রকের পরিবর্তে কৃষিমন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই ঘটনপরম্পরায় হঠাৎ ছেদ টেনেই গত ২১ মে তিনি বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দেন। যদিও আইনগত ভাবে তাঁর মন্ত্রীপদ আগামী ছয়মাস থাকছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠে যায় তাঁর পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে। রাজনৈতিক মহল স্পষ্টই আভাস পায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ঘরের মাঠ থেকেই লড়তে চান, এ কারণেই এই ইস্তফা। সেক্ষেত্রে শোভন ভাগ্যে এবার রাজ্যসভা কিনা এই কথাটি যেমন রাজনীতির অন্দরে ঘোরাফেরা করছিল, তেমনই আলোচনা উঠে আসছিল খড়দহে প্রয়াত কাজল সিনহার আসনটির যোগ্যমুখ নিয়েও। শারীরিক কারণে লড়বেন না অমিত মিত্র। সঙ্গত কারণেই এখানে চর্চিত হয় শোভনদেবের নাম।
এ দিকে দিন কয়েক ধরে কয়েকজন অভিনেত্রীর নামও চর্চিত হয়েছে এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে। সেদিক থেকেও শোভনদেবের খড়দহ যাত্রা ইঙ্গিতবাহী। অন্তত জল্পনাটুকু আরও অনেকটা উস্কে দিলেন তিনি। বাকিটুকু দলনেত্রীর অভিপ্রায়।