শোভন-বৈশাখীর একসাথে পথ চলা শুরু হয়েছিল জামাইষষ্ঠীর সকালেই। বুধবার সকালে ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের নামের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও জুড়ে দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউজ 18 বাংলা-কে বৈশাখী জানান, শোভনের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি তাঁকেই করে দিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। এমনকি বেহালার যে বাড়িতে বর্তমানে রত্না চট্টোপাধ্যায় থাকেন, সেই বাড়িটিও বৈশাখীর নামে লিখে দেওয়ার কাজে এগোচ্ছে। এরপরেই কাহানি মে ট্যুইস্ট।
advertisement
জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর গড়াতেই ফ্ল্যাট থেকে 'উচ্ছেদ' নোটিস পান শোভন চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৭ দিনের মধ্যে গোলপার্কের ফ্ল্যাট ছাড়ার জন্য তাঁকে আইনি নোটিশ পাটিয়েছেন তাঁর শ্যালক। এ প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে জানান, "যে ফ্ল্যাটের জন্য নটিশ পাঠানো হয়েছে, সেখানে আমি দীর্ঘদিন ধরে থাকি। সেখানে থাকার জন্য যা যা এগ্রিমেন্ট এবং ভাড়ার কথা ছিল, সেই সব প্রতি মাসে আমি সঠিক সময়ে পাঠাই। সেই সব নথি আমার কাছেই আছে। ফলে এখানে আমি বেআইনি ভাবে কোনওদিন থাকিনি, আর থাকার ইচ্ছেও আমার নেই। বরং বেহালায় যে বাড়িতে রত্না চট্টোপাধ্যায় থাকেন, সেই বাড়িটি আমার। সেই বাড়ি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে লিখে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।"
শোভন চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, "রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ভাই আমার জমিতে গোডাউন বানিয়ে দিনের পর দিন ধরে ব্যবসা করছে। তার জন্য যে টাকা আমার প্রাপ্য, তা কোনওদিন আমাকে দেওয়া হয় না। আমি বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত করা হচ্ছি।"
এ দিকে, এ দিন সকালে তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের নামের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও জুড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে শোভন একেবারেই অভ্যস্ত নন। কিন্তু বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া নিজের মত প্রকাশের একটি অন্যতম ডিজিটাল মাধ্যম। শোভনবাবুর মাঝেমধ্যেই যখন ইচ্ছে হত, তখন আমার ফেসবুক প্রোফাইলের উপর ভরসা রেখেই তিনি বিভিন্ন সময়ে জনসমক্ষে এসেছেন। তাই তাঁর অনুমতি নিয়েই আমার প্রোফাইলে শোভনের নামও যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' সেই সূত্রেই বৈশাখীর প্রোফাইলের নতুন নাম এখন 'বৈশাখী শোভন ব্যানার্জী'। শুধু তাই নয়, প্রোফাইল ছবিতেও শোভন ও বৈশাখীর যৌথ ছবিও দেওয়া হয়েছে। যেখানে তাঁরা একে অপরের দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে রয়েছেন। সঙ্গে লেখা 'The journey from me to we begins'।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়