বৃহস্পতিবার যেমন উত্তরের টবিন রোড থেকে রথতলা পর্যন্ত শোভন-বৈশাখীর নেতৃত্বে রোড শো করলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। লক্ষ্য রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কলকাতার প্রতিটি বুথে সাংগঠনিক ভাবে গেরুয়া শিবিরকে গুছিয়ে নেওয়া। শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই দিনের রোড শো-তে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ও বিজেপির উত্তর কলকাতার সভাপতি কিশোর কর।
advertisement
টবিন রোড থেকে শুরু করে বনহুগলী, ডানলপ ধরে রোড শো যতো এগিয়েছে, বহরে বেড়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সংখ্যা। রাস্তার দুই ধারে জড়ো হওয়া মানুষের সঙ্গে রোড শো থেকেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে রথতলা মোড়ের জনসভা থেকে স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায়কে আক্রমণ করে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সৌগত রায় এখন তৃণমূলের সর্ব ঘটের কাঁঠালি কলা। আখেরে কোনো যোগ্যতাই নেই সৌগত রায়ের। তৃণমূল কংগ্রেসে এতো দিন তাই কোন প্রমোশন হয়নি সৌগত রায়ের। এখন দল ফাঁকা হয়ে যেতেই গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন উনি।"
রথতলার সভা মঞ্চ থেকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরের মতই এদিনও আগুনে বক্তৃতায় বিদ্ধ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রোড শো শেষের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, "কেন ভাইপো বলব না আপনাকে? ওই নামের কোন মূল্য আছে না কী!" এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তিনি বলেন, "অভিষেক, আপনার নাম করে বলছি! ক্ষমতা থাকলে আমাকে আইনি নোটিস পাঠান। আমি 'জয় শ্রীরাম' লেখা পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে দেবো আপনাকে।" এখানেই থেমে না থেকে বৈশাখীর আরও সংযোজন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাইপোর স্বার্থ দেখতে গিয়ে শোভনকে কালিমালিপ্ত করেছেন। ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে কারও নন।"
রাজ্যের শাসকদলের নেতা, নেত্রীদের বাক্যবাণে আক্রমণ করতে গিয়ে থেমে থাকেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই দিনের সডায় শোভন বলেন,"জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছি। আর এখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই একে একে সবাই ছেড়ে যাচ্ছেন। একদিন এমন আসবে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা হয়ে পড়বেন। কেউ থাকবে না ওনার পাশে।"
PARADIP GHOSH