সেই বৈঠকের শেষে শোভন বলেন, ''নবান্নে হয়ত অনেকদিন পর এলাম। কিন্তু মমতা দি'র সঙ্গে আমার এর মধ্যেই দেখা হয়েছে। আজ মমতা দি'র সঙ্গে যে কথা হল, তাতে নানা বিষয় উঠে এসেছে। মমতা দি'র সঙ্গে কথা হবে, অনুরোধ, পরামর্শ সব থাকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। রাজনৈতিক কথাবার্তাও যে হবে, সেটাই স্বাভাবিক।''
আরও পড়ুন: ইডির সামনে ৫৫ ঘণ্টার জেরা, জনসমক্ষে এসেই চমকে দিলেন রাহুল গান্ধি! দিলেন বড় চ্যালেঞ্জ
advertisement
বৈশাখীর সংযোজন, ''মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আজকের যে মিটিং, তা যেমন রাজনৈতিক তেমনই ব্যক্তিগতও। রাজনীতির মানুষের কাছে গিয়েছি, রাজনৈতিক আলোচনা তো হবেই। মমতা দি'র সঙ্গে শোভনের যে আলোচনা হচ্ছিল, আমি তা এনজয় করছিলাম। আমি চাই, শোভন নিজের রাজনৈতিক জীবন তাড়াতাড়ি শুরু করুক। আজ আবার আমি পুরনো শোভনকে দেখতে পেলাম। মাঝে অভিমানের একটা পর্ব ছিল। সেটা মিটে গেছে।''
আরও পড়ুন: পাভলভের 'অমানবিক' কাণ্ডের জের, 'মেন্টাল হেলথ' নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের!
আচমকা এই সাক্ষাৎ বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তাঁদের দু'জনের তৃণমূলের ফেরার সম্ভাবনার দিকেই এই সাক্ষাৎ ইঙ্গিত বহন করছিল। বৈঠকের পর তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে বিজেপিতে দিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। এরপর ২০২১ সালে ১৪ মার্চ বিজেপি ছাড়েন তাঁরা। তারপর থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন না শোভন বৈশাখী। যদিও একবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন। তারপর এবার নবান্নে সম্পর্কের শীতলতা কাটল বলেই মনে করছেন অনেকে।