মঙ্গলবারের এই রোড শো শুরুর আগে বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ই শোভনবাবুকে বেহালা পর্যন্ত বাইক মিছিল করে নিয়ে আসেন বিজেপি কর্মীসমর্থকরা । এরপর হুড খোলা জিপে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রোড শো করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় । হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে এ দিন শোনা যায় তৃণমূল বিরোধী একাধিক স্লোগান । 'ঘরে ঘরে পদ্ম, দিদিমণি জব্দ' স্লোগানেও গলা হাঁকান শোভন-বৈশাখী। তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বৈশাখী বলেন, ‘‘বেহালার মানুষ আজ প্রমাণ করে দিল, তাঁরা কুৎসা-অপপ্রচারের সঙ্গে নেই। তাঁরা পদ্মফুলের সঙ্গে রয়েছেন।’’ পাশাপাশি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র এবং বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আধুনিক বেহালার রূপকার বলে উল্লেখ করেন তিনি ।
advertisement
রোড শো শেষে থ্রি এ বাসস্ট্যান্ডের পাশেই সভা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় । এ দিনের সভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর তোপ দাগেন তিনি । নাম করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একের পর এক অগ্নিবাণে বিদ্ধ করেন শোভন । বেহালার ১৩১ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর এ দিন বলেন, ‘‘পার্থবাবু জেনে রাখুন, বাংলাতে একটাই সরকার শপথ নেবে । আপনি মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, আপনি বিধানসভাতেও যেতে পারবেন না । আপনি মন্ত্রিসভাতেই স্থান পাবেন না ।’’ এখানেই শেষ নয়, শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব’কে আক্রমণ শানিয়ে আরও চাঁছাছোলা ভাষায় শোভন বলেন, ‘‘পার্থবাবু আপনি আমার নামে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছিলেন । নেতা হওয়ার আগে ভাল কর্মী হন । ৪৫০ কোটি টাকা কোথা থেকে পেলেন, উত্তর দিন।’’
এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেও শোভন বলেন, ‘‘আপনি ভয় পেয়েছেন । তাই উত্তরবঙ্গ থেকে ওই সমস্ত কথা বলছেন । এ বার আপনাকে বাংলা থেকে সরিয়ে দেবে মানুষ ।’’ নাম না করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকেও নিশানা করতে ছাড়েননি শোভন । এ দিনের সভায় তিনি বলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ সব ভোট লুঠ করেছেন । আজকে তৃণমূল কংগ্রেসে কেন কয়লা চুরির মতো শব্দ আসবে? বালি চুরির সঙ্গে কেন নাম জড়িয়ে যাবে? কেন গরু পাচারের নাম আসবে? সব ইতিহাস জানি । আপনার সরকার এই চুরির ভাগ নেবে না বলে সবাই আপনাকে ছেড়ে যাচ্ছেন ।’’
