স্বয়ং রবার্ট ক্লাইভ আসতেন পুজো দেখতে। শোনা যায় একটা সময় স্কচ হাইল্যান্ডের ব্র্যান্ডের সঙ্গে গঙ্গাস্নানে গিেয়ছিল নবপত্রিকা। এখনও কান পাতলে গওহর জান , মালকা জানের ঘুঙুরের শব্দ। সতেরোশো সাতানব্বই সালে রাজা নবকৃষ্ণ দেব শুরু করেছিলেন দুর্গোৎসব। কয়েকশো শতাব্দী পেরিয়ে আজও একইরকমের রাজকীয় শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গা।
উল্টোরথে কাঠামোপুজো। কৃষ্ণানবমীতে বোধন। সেদিন-ই ঠাকুরদালানে বেদি করে দেবীর ঘট স্থাপন। পুজো পর্যন্ত চলে বেদ,রামায়ণ, চণ্ডীপাঠ। ভোগেও বৈচিত্র্য। চাল, কলা দিয়ে তৈরি নৈবেদ্য। বাড়িতে বসে ভিয়েন। তৈরি হয় হরেক মিষ্টি। কৃষ্ণনগর থেকে আসে দুর্গার ডাকের সাজ।
advertisement
একটা সময়ে কামান দেগে শুরু হত সন্ধিপুজো। এখন শোনা যায় বন্দুকের শব্দে। বিসর্জনের আগে আকবরি মোহরে কনকাঞ্জলি। নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে খবর পাঠানোর রীতি কৈলাসেয় যদিও এখন মাটির নীলকণ্ঠেই কাজ চালান পরিবারের সদস্যরা।
রাজবাড়ির ভাসানও রাজকীয়। কাঁধে করে উমাকে গঙ্গায় নিয়ে গিয়ে দুই নৌকায় ভাসান। মাঝগঙ্গায় ভাসানের পর ওড়ে ফানুস। পুজোয আত্মীয় পরিজনের ভিড়ে জমে ওঠে রাজবাড়ির ঠাকুরদালান।