প্রতিদিন রেলের কর্মীদের নিয়ে যাতায়াত করছে স্টাফ স্পেশাল। তবে ভারতীয় রেলে এখন সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করছে পণ্য পরিবহণের জন্যে বিশেষ রেল। কখনও অ্যানাকোন্ডা তো কখনও কন্টেনার পরিষেবা। সবটাই চলছে এখন ঝড়ের গতিতে, সময়ে পণ্য পরিবহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় স্টেশন, গুডস শেড, লাইন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্রিজে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
advertisement
কোভিড পরিস্থিতিতে পূর্ণ মাত্রায় কর্মী দিয়ে কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না। এক সাথে বহু মানুষকে কাজ করানো যাবে না। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই কাজ করতে হবে। এই অবস্থায় কাজ করতে গিয়ে যাতে নজরদারির কোনও ফাঁক না থাকে সেই কারণেই সাহায্য নেওয়া হল ড্রোন পরিষেবার। ড্রোন উড়িয়ে চলছে প্রত্যেকটি জায়গায় নজর। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চার ডিভিশন খড়গপুর, আদ্রা, চক্রধরপুর ও রাঁচি ডিভিশনের সর্বত্র মোতায়েন করে রাখা আছে এই ড্রোন। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আর পি এফের বিশেষ বাহিনী বলছে, দিন ও রাতে ড্রোন ওড়ানোয় কোনো সমস্যা নেই। একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ২ কিলোমিটার এলাকা স্পষ্ট এবং পরিষ্কার ভাবে দেখা যায়। বিশেষ করে রেল লাইন, রিলে রুম, গুডস শেড।
এছাড়া মাঝে মধ্যেই দেখা যাচ্ছে অনেকে একসাথে লাইন ধরে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছেন। সেটিও নজরে আসছে। বিশেষ করে কাজে আসছে জঙ্গল মহলের মধ্যে দিয়ে রেল লাইন গিয়েছে। সেখানে অনেক সময়েই হাতি চলে আসছে। তারা লাইনে আসলে ড্রোনের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা আটকানো যাচ্ছে। এছাড়া এই চার ডিভিশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে স্নিফার ডগ। রেল লাইনের কোথাও নাশকতা ঠেকানোর জন্যে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। যেহেতু গুডস শেড এবং স্টেশনের সব জায়গায় আরপিএফ বা রেল কর্মী এখন পৌছনো বা থাকা সম্ভব নয় তাই এখন রেলের সম্পত্তি সুরক্ষায় ভরসা সেই ড্রোন ও স্নিফার ডগ।
আবীর ঘোষাল