লোকসভার স্পিকারের কাছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন করেন যে, ‘‘দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব আবেদনে সাড়া দিয়ে শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’ আগে থেকেই শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে আসছে তৃণমূল। এর আগে শুনানির দিন ধার্য করা হলেও স্বাধিকার কমিটির রিপোর্টে উপস্থিত থাকতে পারেননি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে সেদিন শুনানি হয়নি। উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে দলবদলের বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির নিষ্পত্তি করার কথা বলেছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
advertisement
আরও পড়ুন- বর্ষার বিদায় পর্ব শুরু হল দেশে, পুজোয় কি বর্ষা থাকছে বাংলায় ?
শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের আবেদনের ভিত্তিতে শিশির অধিকারী থেকে জবাব চেয়েছিল লোকসভার স্বাধীকার কমিটি। তার জবাব দিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। জবাবে পাল্টা তৃণমূলের আবেদন নিয়েই একগুচ্ছ অভিযোগ করেছিলেন শিশির অধিকারী। সূত্রের খবর, স্পিকার ওম বিড়লাকে দেওয়া চিঠিতে শিশির অধিকারী অভিযোগ করেন, আবেদনের প্রতিটি পাতায় স্বাক্ষর নেই আবেদনকারীর। তাঁর আরও আপত্তি, যথাযথ আইন মেনে আবেদন করা হয়নি। শিশির অধিকারীর অভিযোগের পাল্টা জবাবপত্র লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার হাতে তুলে দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হলেও বর্তমানে দলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নেই প্রবীণ এই সাংসদের। আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান না করলেও গত বিধানসভা নির্বাচনে ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করার কথা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন শিশির অধিকারী। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের সব সাংসদ ও বিধায়ক বিধানসভায় ভোট দিলেও সাংসদ পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে শিশির অধিকারী ভোট দিয়েছিলেন দিল্লিতে গিয়ে লোকসভায়। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দিল্লিতে গিয়ে তিনি ভোট দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল কংগ্রেস যখন শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে ঠিক তখনই শাসক দলের বিরুদ্ধে পাল্টা চাপ তৈরি করতেই তৃণমূলে ঘরওয়াপসি হওয়া মুকুল রায় ও বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়েও সুর চড়াল গেরুয়া শিবির বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।