শ্রেয়া(Shreya Pandey) জানান, "সোশ্যাল মিডায়ায় আমার বাবার শারীরিকই কুশল সংক্রান্ত কিছু ভিত্তিহীন ও ভুল খবর ছড়ানো হয়েছে। এই খবর আমার পরিবারকে, আমাদের আত্মীয়-স্বজন ও বাবার অসংখ্য অনুগামীদের বেদনাহত করেছে। অনবরত আমি এ বিষয়ে জানতে ফোন পেয়েই চলেছি। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে আপনারা এ জাতীয় গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। বাবা একজন যোদ্ধা, তিনি এই যুদ্ধটা চালিয়ে যাবেন।" বাবা সাধন পাণ্ডের দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করে এদিন মন্দিরে পুজো দেন শ্রেয়া। তারপরেই এই বিবৃতি প্রকাশ করেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
advertisement
শ্রেয়া তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন, "এটি সংবেদশীল সময়। আমরা জানি, আপনারাও বাবার বিষয়ে চিন্তিত, তাঁর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য আপনাদের প্রার্থনা দরকার আমার বাবা একজন যোদ্ধা। এবং তিনি এই যুদ্ধ করে সুস্থ হয়ে উঠবেন। প্রার্থনার শক্তি অসীম। আপনারাও সেই প্রার্থনা করুন, যাতে আমার বাবা আবার সুস্থ হয়ে ওঠেন।"
শুক্রবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি হন। তারপর থেকে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। সেই কারণে সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে তাঁকে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক নবারুণ রায়ের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। শ্বাসকষ্ট, কাশির সঙ্গে অস্বাভাবিক রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাঁর। হার্টবিটও বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। রবিবার সকাল পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। উল্টে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে তাঁর মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মেয়ে শ্রেয়া বিবৃতি ও ভিডিও প্রকাশ করে প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরেন। শুক্রবার যখন ভর্তি হয়েছিলেন তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা একেবারেই নেমে গিয়েছিল। ওইদিন দুপুরে ট্যাবলো উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সারাদিন রোদের মধ্যে থেকে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ বোধ করেন তিনি। তারপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।