কৃষ্ণনগরের পর আসানসোল। লোকসভা নির্বাচনের টিকিট অন্তত এই দুটি কেন্দ্রে ‘কনফার্ম’ করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনিই। বাবুল সুপ্রিয়কে দলে নেওয়ার পর আসানসোলে উপনির্বাচন হয়। তখন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহাকেই আসানসোলে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। আসনটি জিতে নেয়। এবারও এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সূত্রের খবর, দলের পশ্চিম বর্ধমানের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে এই কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের কোন রাজ্যে বেতন সব থেকে বেশি? বাংলার কী অবস্থা, শুনে চমকে যাবেন!
শত্রুঘ্ন সিনহা বিহারের ‘ভূমিপুত্র’ হওয়ায় একটা বড় অ্যাডভান্টেজ। তারপর তাঁকে এলাকায় দেখা যায়। এমনকী জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজও করেছেন বিহারীবাবু। এখানের মানুষের সঙ্গে সরাসরি তাঁর সংযোগ রয়েছে। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসার পর আসানসোলে উপনির্বাচন হয়। সেখানে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দু’বারের জেতা আসন ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এবারেও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: হাত-পায়ের তালুই যথেষ্ট, কোনও রকম ওষুধ ছাড়াই সারবে রোগ! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলার ২০ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার মধ্যে ছিল আসানসোলও। আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছিল ভোজপুরী গায়ক ও অভিনেতা পবন সিংকে। কিন্তু প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পবন সিং জানিয়ে দেন, আসানসোল থেকে ভোটে লড়ছেন না তিনি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আসানসোলের প্রার্থী পবন সিং সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ফলে ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্র নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিজেপি।