গত শনিবার বনগাঁর গাইঘাটা ফুলশড়া পাঁচপোতায় এলাকায় বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের জন্য একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর৷
আরও পড়ুন: ‘আমাকে অ্যারেস্ট করুন!’, ব্যারিকেড ভেঙে এগোলেন নওশাদ, ভাঙড় যাওয়ার পথে তুমুল উত্তেজনা
সেখানেই বক্তৃতা করতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আমরা যা ভোট পেয়েছি তার থেকে দশ গুণ ভোট বেশি পাওয়ার কথা ছিল। ’’ তাঁর দাবি, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একাংশের দৌরাত্ম্যেই বিজেপির এই ফল হয়েছে৷ এছাড়, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি৷
advertisement
এরপরেই শান্তনু বলেন, ‘‘এরা (তৃণমূল) ভেবে নিয়েছে এরা চিরস্থায়ী। কখনওই এরা চিরস্থায়ী নয়। আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এদের সরকার পড়ে যাবে। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলে যাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: বিরোধী-বৈঠকের আগের দিনই বড় আপডেট! কংগ্রেসের ঘোষণায় ‘সন্তুষ্ট’ আপ, মিটবে সমস্যা?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের ছবি স্পষ্ট হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করা নিয়ে ফের সুর চড়াতে শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ হিংসা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নজির টেনে সেই একই কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও৷
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক সেরে সুকান্ত বলেন, ‘‘মন্ত্রক চিন্তা করবে। বাংলায় যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও মুহূর্তে জারি হতে পারে ৩৫৫৷’’
এর আগে শুভেন্দু অধিকারীও বলেছিলেন, ‘‘গণতান্ত্রিত ভাবে নির্বাচিত কোনও সরকারকে ফেলে দেওয়া যায় না৷ কিন্তু, যদি কোনও সরকার নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করতেই হয়৷’’
একের পর এক বিজেপি নেতার এই ধরনের মন্তব্যকে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না শাসকদল তৃণমূল৷ এদিন তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শুভেন্দু-সহ এই সমস্ত বিজেপি নেতা আসলে দিল্লিতে নিজেদের নম্বর বাড়াতে চাইছেন৷ মানুষে বিপুল জন সমর্থনে তৃতীয়বার সরকার গড়েছে এই সরকার৷’’