সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল, তা খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, রেজিস্ট্রেশন বাতিলের কারণ জানানো হয়নি শান্তনুকে। কাউন্সিলকে পাল্টা নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
শান্তনু সেন বলেন, ‘গত ৩’রা জুলাই সুদীপ্ত রায় জানান, আমার রেজিষ্ট্রেশন সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই বছরের জন্য। যদিও আমাকে কোনও নোটিশ আজ পর্যন্ত পাঠায়নি। চার তারিখ রাতে আমরা দেখতে পাই, ওয়েবসাইটে আমার সাসপেনশন নোটিশ আপলোড করা হয়। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম আমার রেজিস্ট্রশন বাতিল করে দেখাক? আমার সামাজিক সম্মানহানি ঘটাতে এটা করা হয়েছিল। আজ আদালত থেকে যোগ্য জবাব পেয়েছে মাননীয় সভাপতি। আমি আগের মতোই প্র্যাকটিস করতে পারব। IMA ভোটেও এমন আচরণ করতে নেমেছিল। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে এমন আচরণ করেছিলেন মাননীয় সভাপতি। এমন আচরণের জন্য সরকারের এত কাজ সত্ত্বেও কিছু মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।’
advertisement
এদিন সুদীপ্ত রায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “সুদীপ্ত রায় আমার বাবার বয়সী। তাঁর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমি তাঁর ভোটে পোলিং এজেন্ট হয়ে মার খেয়েছিলাম সিপিএমের থেকে। আমার স্ত্রী সেই সময় অন্তঃত্ত্বা ছিলেন, তাঁকেও মারা হয়েছিল। আমার মনে হয় উনি বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। তাঁর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমুক। তাই আমি ফুল পাঠাচ্ছি। উনি সুস্থ থাকুন।”