আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলা থেকে শুরু হচ্ছে সফর সূচি। এরপর আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং জেলাগুলিতে সফর করবেন নতুন রাজ্য সভাপতি। আগামী তিনদিন উত্তরবঙ্গ সফরে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সারবেন শমীক ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সমস্ত সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের কাছে নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে দলের পুরোনো কর্মীদের কাছে গিয়ে জেলা সভাপতি এবং জেলা নেতৃত্ব তাঁদের আমন্ত্রণ জানান। পুরোনো প্রতিটি কর্মী যাতে নির্বাচনের আগে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে দলে ভূমিকা নেন, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে দল। রাজ্য বিজেপির নবনির্বাচিত সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের রণকৌশল প্রকাশ করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: প্ল্যান তৈরি, এবার অমিত শাহের ‘টার্গেট বাংলা’! পুজো মিটলেই এমন ঘটনা ঘটবে, এ রাজ্যে আগে দেখা যায়নি
তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই নির্বাচনে দলের আদি কর্মী ও সমর্থকদের উপর পূর্ণ আস্থা রাখা হবে। আদি ও নব্যপন্থী নেতাদের একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন তিনি এবং জানিয়েছেন বিজেপি দল নিজস্ব রাজনৈতিক ভাবধারার উপর চলে। ভোটের আগে দলবদলু নিয়ে বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, অন্যদল থেকে বিজেপিতে যোগদানের আগের প্রবণতা এবার বন্ধ হতে চলেছে। শমীক ভট্টাচার্যের টিমে দীর্ঘদিনের পুরোনো নেতা-কর্মীদের প্রাসঙ্গিকতা নতুন করে বাড়ছে।এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির দলবদলু শিবিরের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সম্ভবত নয়। কারণ, সম্প্রতি রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া শমীক ভট্টাচার্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আসন্ন ভোটে তাঁর পূর্ণ আস্থা আদি কর্মী-সমর্থকদের উপরই। অতীতে যেভাবে ভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারীদের উপর বাড়তি নির্ভরতা তৈরির একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছিল, তাও বন্ধ হতে চলেছে। দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভিন্ন দল থেকে লাগাতার পার্টিতে যোগদানের হারে রাশ টানবে বঙ্গ বিজেপি।